কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠান। এবার এটি ৬৯ তম বর্ষে পড়ল। যদিও কারা কারা নমিনেশন পেয়েছেন সেটা গত সেপ্টেম্বর মাসেই ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। এবার এদিন কালকক্ষ ছবিটির জন্য পুরস্কার পেলেন রাজদীপ পাল।
৬৯ তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসব
এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসব ২৪ অগস্ট অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হিন্দির পাশাপাশি কন্নড়, তামিল, তেলুগু, বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির বহু ছবিই নজর কাড়ে। আর সমস্ত ছবির মধ্যে সেরা বাংলা ছবির তকমা পায় রাজদীপ পাল এবং শর্মিষ্ঠা মাইতির কালকক্ষ। অবশেষে গত ১৭ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পরিচালক সেই পুরষ্কার গ্রহণ করেন।
রাজদীপ পালের অভিজ্ঞতা কেমন?
দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মুর থেকে কালকক্ষ ছবিটির জন্য পুরস্কার গ্রহণ করে রাজদীপ পাল। এই প্রসঙ্গে তিনি এই সময়কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানান, 'অনেক গুণীজনদের মাঝে দাঁড়িয়ে এই পুরস্কার নেওয়ার যে অনুভূতি সেটা বলে বোঝানো অসম্ভব। এক কথায় বলতে গেলে স্বর্গীয় অনুভূতি। আর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার অভিজ্ঞতাটা তো কোনদিন ভুলব না।'
তিনি একই সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়েও। এই প্রসঙ্গে পরিচালকের মত, 'জাতীয় পুরস্কারের ক্ষেত্রে সবসময় ট্যালেন্ট গুরুত্ব পেয়েছে, এখানে কোনও রকম ভেদাভেদ করা হয় না। প্রতিভাই শেষ কথা বলে। আর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার অর্থ হল অনেক কাজ করার অনুপ্রেরণা পাওয়া। সব ছবিই যে বক্স অফিসে হিট করবে, বাণিজ্যিক ভাবে সফল হবে তেমনটা নয়। মানুষের মনের চাহিদা, শৈল্পিক চাহিদাকে পূর্ণ করাটাই সিনেমার উদ্দেশ্য।'
আরও পড়ুন: দেবীপক্ষে ছবি মুক্তি, বাঘা যতীন আসার আগেই ভবতারিণীর দর্শনে দক্ষিণেশ্বরে দেব
আরও পড়ুন: সুরুচি সংঘে জমিয়ে ঢাক বাজালেন অনির্বাণ-প্রসেনজিৎ, ছবি মুক্তির আগে নাচ জয়ার
কালকক্ষ ছবিটি যখন মুক্তি পায় প্রথমবার তখন একেবারেই চলেনি। এমনকি সেটার প্রচার হওয়ার সময়ও দেওয়া হয়নি। তবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছে এই কথা যখন ঘোষিত হয় তখন সেটাকে আবার নতুন করে হলে রিলিজ করা হয়।