বাংলা টেলিভিশনের একমাত্র দিদি তিনি। বছরের পর বছর ধরে তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি একবিন্দু। বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম হিট শো ‘দিদি নম্বর ১’। তবে আচমকাই চাকরি হারানোর ভয় রচনার। ভাবছেন কেন? আসলে দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে হাজির খুদে রচনা। আর তাঁকে দেখে চোখ ছানাবড়া সব্বার।
অবিকল রচনার মতো সেজে গড়গড় করে রচনার সংলাপ আওড়াচ্ছে নার্সারির ছাত্রী অনুষ্কা। রচনা যে ভঙ্গিতে শো শেষ করেন, সেটি অভিনয় করে দেখালো সে, তাতেই ক্লিনবোল্ড খোদ রচনা। তিনি তো বলেই ফেললেন, ‘আমার তো ভয় করছে এবার, আমার সামনে এত ভালো রচনা ব্যানার্জি দাঁড়িয়ে আছে’। হ্যাঁ, রচনার সামনেই রচনার মিমিক্রি করে সবার মন জিতে নিল এই খুদে।
রচনার সঙ্গে আলাপচারিরতার ফাঁকেই অনুষ্কা জানালো ঠাম্মির সঙ্গে প্রতিদিন বিকালে বসে জি বাংলার পর্দায় দিদি নম্বর ১ দেখে সে, আর তাতেই এইভাবে রচনার ডায়লগ মুখস্ত করে ফেলেছে অনুষ্কা।
নিজের দুষ্টুমির কাহিনিও ফাঁস করল সে। স্কুলে বন্ধুদের গায়ে ধুলো ছিটিয়ে দেওয়ার কীর্তি নিজের মুখেই জানালো অনুষ্কা। সারাদিন কীভাবে কাটে তাঁর সে কথাও জানালো। দিদির আবদার মেনে শোনালে ‘নীল দিগন্তে’ গান। অনুষ্কার মিষ্টি কথা মন জয় করে নিয়েছে সবার। নেটদুনিয়ায় প্রশংসার বন্যা। কেউ লিখেছেন, ‘খুব মিষ্টি তুমি, এইভাবেই এগিয়ে যাও’। অনেকে আবার লিখেছেন, ‘কিউটের ডিব্বা, অনেক আর্শীবাদ’। কেউ কেউ তো বলছেন, ‘এ তো পুরো মিনি রচনা’।
আপনাদের কেমন লাগলো খুদে অনুষ্কার এই কেরামতি?