সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই সোজাসাপটা শ্রীলেখা। মনের কথা ফেসবুকের বন্ধুদের সঙ্গে হামেশাই ভাগ করে নেন অভিনেত্রী। বুধবার শ্রীলেখা মিত্রর জীবনের একটা বিশেষ দিন। আজ থেকে ১৭ বছর আগে আজকের দিনেই মাতৃত্বের স্বাদ পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। দেখতে দেখতে অনেকটা সময় পার হয়ে গিয়েছে, তবে স্মৃতিতে আজও তরতাজা ওই মুহূর্তটা যখন মেয়ে মাইয়্যা (ঐশী)-কে প্রথমবার দু-চোখ ভরে দেখেছিলেন তিনি। সেই স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে প্রসব নিয়ে দু-চার কথা শেয়ার করলেন শ্রীলেখা।
৩৩ বছর বয়সে মা হয়েছিলেন অভিনেত্রী। আজকাল নর্মাল ডেলিভারি বা প্রাকৃতিক নিয়মে সন্তান প্রসব করতে চান না কেউই। গর্ভধারণে নানান জটিলতা এবং নর্মাল ডেলিভারিতে ভয় এর অন্যতম কারণ। তবে শ্রীলেখা কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রাকৃতিক নিয়মেই সন্তানের জন্ম দেবেন তিনি। কিছুতেই সিজার (সি-সেকশন)-এর মাধ্যমে ডেলিভারি করাতে চাননি।
এদিন অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমি চেয়েছিলাম সন্তান জন্ম দেওয়ার গোটা প্রক্রিয়াটা অনুভব করতে। আমার প্রেগন্যান্সি সংক্রান্ত সবকিছুই আমার নর্মাল ছিল। আমার চিকিৎসক কুশাগ্রোধী ঘোষকে আমি রাজি করিয়েছিলাম যাতে আমার নর্মাল ডেলিভারি করা হয়। সন্তানের জন্মের সময় যেন মনে হয়েছিল যোনি থেকে একটা আস্ত আনারস বেরিয়ে এল। সেই তীব্রতম (প্রসব) যন্ত্রণা এক নিমেষে গায়েব হয়ে গিয়েছিল যখন আমার মধ্যে থেকে ঐশী বেরিয়ে আসে। ৭ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ওর জন্ম হয় (অর্থাৎ আজ)। ওইদিন আমি উপলব্ধি করেছিলাম ঈশ্বর এভাবেই প্রাণ দান করেন সকলকে। এই ছবিটি ঐশীর জন্মের ৫ মিনিট পর তোলা। আজ ওর ১৭ বছরের জন্মদিন। হ্যাপি বার্থ ডে মাইয়া। আমার ছোট মা। জীবনে ওর চলার পথে যাই আসুক না কেন, ও যেন ভাল মানুষ হয়েই থাকতে পারে। আমিন’।
মেয়ে এখন লম্বায় মা-কে ছাড়িয়েছে, ক্য়ামেরার সামনে স্বচ্ছন্দ নয় ঐশী। তাই লাইমলাইট থেকে একটু দূরেই থাকে সে। শ্রীলেখা ও তাঁর প্রাক্তন স্বামী শিলাদিত্য সান্যালের একমাত্র কন্যা ঐশী। বাবা-মা দুজনের সযত্নে বড় করে তুলেছেন মেয়েকে। এই বছর জন্মদিনে মেয়েকে উপহারে ভরিয়ে দিয়েছেন শ্রীলেখা। মাইয়ার জন্য কিনেছেন পছন্দের বই, জামা আর লিপস্টিক। পাশাপাশি মেয়ে বড় হয়ে যাওয়ায় ছোট বেড পালটে একটা বড় খাট কিনে দিয়েছেন শ্রীলেখা। আজ মেয়ে ও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাবেন শ্রীলেখা। চলবে জমিয়ে আড্ডা আর খাওয়া-দাওয়া।