রণবীর সিং-এর নগ্ন ছবি এখনও আলোচনার বিষয়। অগস্টে ‘পেপার’ ম্যাগাজিনের হয়ে ফোটোশ্যুট করেছিলেন এই অভিনেতা। যা দেখে চোখ কপালে উঠেছিল আমজনতার। গায়ে একটা সুতো ছাড়া ক্যামেরার সামনে এসেছিলেন তিনি। তবে তা নিয়ে নানা জটিলতার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। রণবীরের নামে পুলিশ কেসও হয়েছিল। ২৯ অগস্ট তা নিয়ে জেরা করা হয়েছিল অভিনেতাকে মুম্বই পুলিশের তরফে। এখন যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তা অনুসারে রণবীর পুলিশ অফিসারদের জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর যে ছবি ছড়িয়ে পড়ে তার মধ্যে একটা মর্ফড করা। মানে কেউ এডিট করে তা বানিয়েছে।
নগ্নতা ছড়ানোর অভিযোগে রণবীরের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল চেম্বুর থানায়। অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মহিলা আইনজীবী বেদিকা চৌবে এবং একটি এনজিও। যাতে বলা হয়েছিল ক্যামেরার সামনে নগ্ন হয়ে মহিলাদের ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন নায়ক। তাঁর ওই ফটোশ্যুট সর্বৈবভাবে অশ্লীল ও কুরুচিকর। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯২, ২৯৩,৫০৯ এবং আইটি আইনের ৬৭ (এ) ধারায় রণবীরের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল মুম্বই পুলিশ।
রণবীর পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি মোট ৭টি ছবি সেইসময় শেয়ার করেছিলেন ইনস্টাগ্রামে। তবে তার মধ্যে ছিল না ভাইরাল হওয়া একটা ছবি। ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে সেই ছবিটা পরীক্ষা করার জন্য। আর যদি রণবীরের ‘মর্ফড’ করার দাবি সত্য প্রমাণিত হয় তবে তিনি ছাড়া পাবেন। কেননা, ওই ভাইরাল ছবিতে রণবীরের গোপনাঙ্গ দেখা যাচ্ছিল বলেই এত হইচই, জানাচ্ছে পুলিশ সূত্র।
সঙ্গে ওই সূত্র এটাও জানিয়েছেন রণবীর ইনস্টাগ্রামে যে ছবিগুলি দিয়েছেন তা কোনওভাবেই অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে আসে না, কারণ সেগুলোতে রণবীরের গোপনাঙ্গ দেখা যায়নি।