রবিবার গড়ফা থানা এলাকার এক ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় অভিনেত্রী পল্লবী দে-র দেহ। মেয়ের মারা যাওয়ার খবর সামনে আসার পর থেকেই পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল তাঁদের মেয়ের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। অভিনেত্রীর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর নামে খুন ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ করা হয়েছিল গড়ফা থানায়। তারপর থেকে লাগাতার জেরার মধ্যেই রয়েছেন তিনি।
সাগ্নিকের খরচপাতির হিসেব দেখে চোখ কপালে উঠেছিল অনেকেরই। বিশেষ করে পল্লবীর মৃত্যুর পর সেই প্রশ্ন প্রকাশ্যে তুলেছিলেন পল্লবীর একাধিক বন্ধু। পুলিশের পক্ষ থেকেও সাগ্নিকের ব্যাঙ্ক ট্রান্সাকশন খতিয়ে দেখা হয়েছে। সঙ্গে ঠিক কী কাজ করতেন তিনি। আরও পড়ুন: যৌন হেনস্থা করেছিল সাগ্নিক, দাবি ঐন্দ্রিলার! পল্লবীর অনুরোধেই নাকি পুলিশে যাননি
রাজারহাট-নিউ টাউনে একটি কল সেন্টার চালাতেন বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সেই কল সেন্টারের বৈধ কোনও কাগজ আছে কি না, কী ধরনের কাজ হত সেখান থেকে তাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই খবর মিলল পুলিশ সূত্রে। আরও পড়ুন: মেয়ের একাধিক প্রেমে নিয়ে মজা করত পল্লবীর মা! দিদি নম্বর ১-এর ভিডিও নিয়ে চর্চা
পল্লবীর মৃত্যুর পর জানা গিয়েছিল ১৫ লাখের জয়েন্ট ফিক্স ডিপজিট ছিল পল্লবী-সাগ্নিকের। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রীর ব্যাঙ্কের নমিনিও তিনি। সঙ্গে পরিবার দাবি তুলেছিল নিউ টাউনে নিজের নামে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন সাগ্নিক, সেটার জন্যও বড় অঙ্কের টাকা নিয়েছিল বান্ধবীর থেকে।