Parambrata Chatterjee-Vidya Balan : হিন্দিতে বিদ্যার সঙ্গে প্রথম ছবি, কাজের বাইরেও বন্ধুত্ব আছে? উত্তর দিলেন পরমব্রত

বামপন্থীদের নিয়ে আমাদের বাংলার একটা ইতিহাস আছে। ওঁরা যা করতে চেয়েছিল, তার আসল উদ্দেশ্য কিন্তু মহৎ ছিল। আপনার সঙ্গে তাঁদের মতাদর্শগত পার্থক্য থাকতে হবে, তবে তাঁদের উদ্দেশ্য যে মহৎ ছিল, তা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন না।

বিদ্যার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক কেমন?

রুচি কৌশল

 

বাংলায় তো পরিচিতি রয়েছেই। তারপর এখন জমিয়ে কাজ করছেন হিন্দিতে। যে পদক্ষেপ তিনি শুরু করেছিলেন ২০১২-তে সুজয় ঘোষের 'কাহানি' ছবির হাত ধরে। বিপরীতে ছিলেন বিদ্যা বালান। পুলিস আধিকারিক সাত্যকি সিনহা ওরফে রানার ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। পরে ২০১৮-তে ফের অনুষ্কা শর্মার বিপরীতে ফের হিন্দি ছবি 'পরী'-তে দেখা যায় পরমব্রতকে। এরপর 'বুলবুল'-এ ডক্টর সুদীপের চরিত্রটি তাঁকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছিল। এখন একেরপর এক হিন্দি ওয়েব সিরিজে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। হিন্দি সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ তাঁকে সারাদেশে নিজের অভিনেতা হিসাবে পরিচিতি গড়ে তুলতে সাহায্য করছে বলে সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিনিধি রুচি কৌশলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন পরমব্রত।

পরমব্রতর কথায়, অবশ্যই হিন্দি ভাষায় কাজ আমাকে সারাদেশে পরিচিতি গড়ে তুলতে সাহায্য করছে। কারণ, এটা তো মানতেই হবে হিন্দি একটি সর্বভারতীয় ভাষা। দেশের বেশিরভাগ মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন। এই ভাষায় কাজ করলে দেশের বেশি মানুষের কাছে সেটা পৌঁছয়। এটা মানতেই হয় যে এমনকি ‘ব্ল্যাক উইডো', ‘বুলবুল’ বা ‘রামপ্রসাদ কি তেহরভি’, আমাকে যে স্বীকৃতি দিয়েছে তা অনেক বেশি।

বিদ্যা ও পরমব্রত

প্রসঙ্গত, পরমব্রতর ডেবিউ হিন্দি ছবিতে যেমন তাঁর সঙ্গী ছিলেন বিদ্যা বালান, ঠিক তেমনই বিদ্যারও বাংলা ডেবিউ 'ভালো থেকো'-তে তাঁর সঙ্গী ছিলেন পরম। বিদ্যার সঙ্গে আবারও কি কাজ করবেন? যোগাযোগ আছে? এপ্রশ্ন পরমব্রত বলেন, ' আশা করি আমরা আবারও কাজ করব। আমি বিদ্যার সঙ্গে কাজ করতে পছন্দ করি, ও একজন সুন্দর মানুষ। এখন মাঝেমধ্যে পার্টিতে দেখা হয়। আমরা একে অপরের সঙ্গে একটা সুন্দর উষ্ণ সম্পর্ক রেখে চলেছি।

সম্প্রতি ‘জেহানাবাদ – অফ লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ ওয়েবসিরিজে অভিনয় করেছেন পরমব্রত। সেখানে তিনি নকশাল নেতা। এই ওয়েবসিরিজের কোনও দৃশ্য অভিনয় করতে গিয়ে কি তাঁর মনে হয়েছে এটা কষ্টকর? পরমব্রত জানান, এখানে একটা দৃশ্য আছে যেখানে কোনো শারীরিক কার্যকলাপ নেই, আমি শুধু একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে গীতার একটি দীর্ঘ শ্লোক পাঠ করছি। আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজন বুঝতে পারছেন না আমিক ঠিক কী বোঝাতে চাইছি। পরবর্তী দৃশ্যটি খুব নাটকীয়। আমার মনে হয় ওই গীতার শ্লোকটি সঠিক উচ্চারণে বলা কঠিন ছিল। শুধু উচ্চারণই নয়, সঙ্গে আমার চোখের ভাষাতেও সেটা ফুটিয়ে তোলা প্রয়োজন ছিল।

জেহানাবাদ – অফ লাভ অ্যান্ড ওয়ার

জেহানাবাদে কালা ‘সুরজ কালে বাদল’, এই যে গানটি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটা কি মৌলিক গান? পরমব্রত জানান, হ্যাঁ, গানটি মৌলিক, তবে বিহার-বাংলার গান নিয়েই তৈরি। দেখুন, বামপন্থীদের নিয়ে আমাদের বাংলার একটা ইতিহাস আছে। ওঁরা যা করতে চেয়েছিল, তার আসল উদ্দেশ্য কিন্তু মহৎ ছিল। আপনার সঙ্গে তাঁদের মতাদর্শগত পার্থক্য থাকতে হবে, তবে তাঁদের উদ্দেশ্য যে মহৎ ছিল, তা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন না। এই চেতনাই ‘সুরজ কালে বাদল’ গানটিতে ফুটে উঠেছে।