সদ্যই ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে দেবলীনার আত্মহত্যার চেষ্টার জেরে বিয়ে ভেস্তেছে পুটুপিসির। সেই নিয়ে হইচই কাণ্ড সিরিয়ালে। দীর্ঘদিন পর সুকল্যাণের বিয়ে এভাবে আটকে যাওয়ায় কার্যত ভেঙে পড়েছে পুটুপিসি। নিজের ভুল বুঝে তা শুধরে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে দেবলীনা, তবে মন গলেনি গুনগুনের। সোমবারের এপিসোডেই দর্শক দেখেছে পুটুপিসির কীভাবে রুখে দাঁড়িয়েছে সে।
কিন্তু আচমকাই সব গণ্ডোগোল, এবার দেবলীনার মতোই আত্মহত্যার চেষ্টা করে বসল গুনগুন! কিন্তু হলটা কী আচমকা? গুনগুন কেন জ্যাঠাইয়ের ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিল? সেই প্রশ্নে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া, হতবাক দর্শকরা। কেন বার বার আত্মহননের কথা এবং দৃশ্য তুলে ধরা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলছে তাঁরা।
বুধবার (আগামিকাল)-এর এপিসোডের আগাম ক্লিপিংস ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এখন চব্বিশ ঘন্টা আগেই স্টার নেটওয়ার্কের সব সিরিয়াল দেখা যায়। সেখান থেকেই খড়কুটোর ফ্যানপেজ গুলিতে ছড়িয়ে পড়েছে আগামী এপিসোডের এই দৃশ্য।
সোমবারের এপিসোডেই আচমকা জানা গিয়েছে জ্যাঠাইয়ের এক মেয়ে রয়েছে, মুনিয়া। তবে পরিবারের কেউই আজ পর্যন্ত তার কোনও উল্লেখ করেনি। পুটুপিসির সঙ্গে বড়মা এবং জ্যাঠাইয়ের কথোপকথন শুনে ফেলে গুনগুন। এবং কৌতুহলবশত পালটা প্রশ্ন করে গুনগুন।এর জেরেই জ্যাঠাইয়ের কাছে মারাত্মক বকা খেতে হয় গুনগুনকে। পুটুপিসির বারণ না শোনায় ব্যাপক ধমক খেতে হয় গুনগুনকে। এরপর কাঁদতে কাঁদতে গুনগুন বলে, ‘চলে যাব আমি, আর কখখোনো তোমাদের বিরক্ত করব না’।
এরপর আচমকাই খোঁজ মিলছে না গুনগুনের। বাড়িসুদ্ধ লোক জানে না গুনগুনের গায়েব হয়ে যাওয়ার কারণ। এরপর আগামী পর্বে, দেখা যায়- বেঞ্চের উপর অচেতন অবস্থায় পরে গুনগুন। হাতে জ্যাঠাইয়ের ঘুমের ওষুধের শিশি। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সৌজন্য প্রশ্ন করে, এতে কটা ঘুমের ওষুধ ছিল, জ্যাঠাই বলে ভরা ছিল তো- যা শুনে মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যায় সকলের।
এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরেই দর্শকমহলের একটা অংশ বেজায় ক্ষুদ্ধ। কেন বারবার এই অঘটনের পুনরাবৃত্তি, সুইসাইডের কথা শুনলে অনেকেই এই বিষয় নিয়ে ট্রিগারড হয়, দাবি নেটনাগরিকদের। মাত্র দিনকয়েকের ব্যাবধানে কেন এমনটা করছেন ক্রিয়েটিভরা?
অনেকে সরাসরি কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করছেন ধারাবাহিকের লেখিকা, লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে। তবে গুনগুনের অনেক ভক্ত অবশ্য আস্থা রাখছেন তাঁদের প্রিয় নায়িকা চরিত্র আদতে এমন কোনও কাজ করতে পারেন। রাগ করে হয়ত, কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়েছে সে। ওষুধের শিশিটা হয়ত অন্য কোনও কারণে তাঁর হাতে রয়েছে। অথবা পুরোটাই গুনগুনের নতুন কোনও ফন্দি বা নাটক। আসল সত্যিটা কী? তা জানতে অপেক্ষা বুধবারের।