মাসখানেকের ভিতরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন নন্দিনী গাঙ্গুলি। ভালো নাম অবশ্য মমতা। তবে তাঁকে সকলে চেনেন নন্দিনী নামেই। ডালহৌসিতে ভাতের হোটেল চালানো নন্দিনী হঠাৎই ভাইরাল হয়েছিলেন ইউটিউবে। তারপরের গল্প তো সকলের জানা। তবে শনিবার রাতে ইনস্টাগ্রাম লাইভে এসে বেশ রহস্য করলেন নন্দিনী। তাঁর কথা শুনে অনেকের মনেই প্রশ্ন, সিনেমায় নাম লেখাচ্ছেন নাকি এই ভাইরাল দিদি?
সোশ্যাল মিডিয়া রাজা সাহার সঙ্গে লাইভে আসেন নন্দিনী। প্রথমে হাতে থাকা একগুচ্ছ কাগজের দেখান নন্দিনী। তারপর জানান, তাঁদের তরফে রয়েছে বড়সড় চমক। নন্দিনী বলেন, ‘ আজ একটা চরিত্রের কথা বলব। নন্দিনী নয়, সেটা নিলাক্ষী।’
নন্দিনীর কথার সঙ্গে তালমিলিয়ে রাজা বলে ওঠেন, ‘নিলাক্ষী এমন একটা মেয়ে, যে ভীষণ সুন্দর, আকর্ষণীয়, ক্রিয়েটিভ। লিখতে ভালোবাসে। সত্যিটাকে তুলে ধরতে ভালোবাসে নিজের লেখায়।’ এরপর ব্যোমকেশের অজিত, ফেলুদার জটায়ুর সঙ্গেও তাঁরা তুলনা করেন নিলাক্ষীর। নন্দিনী আরও যোগ করেন, ‘কিছু সত্য বাইরে আসা। কিছু সত্য নিজের মধ্যে আটকে রাখা। সম্পর্কের দাম। একটা সম্পর্কের কী মর্ম হতে পারে কোনও পরিবারের কাছে, সেটা নিয়েই নিলাক্ষীর গল্প।’
এবার এর থেকে স্পষ্ট ধারণা হয়ে গেল কোনও সিনেমাই আসতে চলেছে। যদিও রাজা বা নন্দিনী কেউই খোলসা করতে চাইলেন না, নিলাক্ষীর ভূমিকায় কাকে দেখা যাবে। বা এটা সিনেমা হবে না সিরিজ। জানালেন, ধীরে ধীরে পর্দা উঠবে এই রহস্য থেকে! পরিষ্কার হল না নন্দিনীর বা কী ভূমিকা এই প্রোজেক্টে।
পড়াশোনা করেছেন নন্দিনী ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে। পরে বেঙ্গালুরু-র এক হোটেলে চাকরি করতেন। সেখান থেকেই সব ছেড়ে চলে আসেন মা-বাবার স্বপ্নপূরণ করতে কলকাতায়। ডালাহৌসির পাইস হোটেলের কাজের বেশিরভাগটা দায়িত্বই তুলে নে নিজের কাঁধে। নিশ্চিত মাস মাইনের চাকরি ছেড়ে ক্যাশ সামলানো থেকে রান্না করা, খেতে দেওয়া, দোকানের বেশিরভাগটা কাজও করেন নিজেই। এক ইউটিউব চ্যানেলকে নন্দিনী জানিয়েছেন কলকাতায় আরও কিছু পাইস হোটেল খোলার ইচ্ছে তাঁর রয়েছে। একটা নিউটাউনে ও অপরটি উত্তর কলকাতায়।
চলতি বছরে বিয়ের পিঁড়িতেও বসবেন। প্রেমিক রুদ্র দাসের গলাতেই দেবেন মালা। পুজোর আগে সেরে ফেলতে পারেন এনগেজমেন্টও। নন্দিনীর কথা, ‘এখন বিয়ে না করলে আমার আর বিয়েই হবে না’! শিমলাতে হোটেল রয়েছে নন্দিনীর হবু বরের।