প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে তাঁর প্রয়াত বাবার বন্ডিংয়ের কথা কারুর অজানা নয়, বাবার মৃত্যুর ধাক্কা প্রবলভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন ‘ড্যাডিস প্রিন্সেস’ প্রিয়াঙ্কাকে। অভিনেত্রীর কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় সাপোর্ট সিস্টেম ছিলেন তাঁর বাবা ডাঃ অশোক চোপড়া। তাঁর অসুস্থতার সময় প্রিয়াঙ্কার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রির এক বন্ধু, নিজের আত্মজীবনীতে সেই বন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা উজাড় করে দিয়েছেন অভিনেত্রী।
গত মঙ্গলবার মুক্তি পেয়েছেন প্রিয়াঙ্কার আত্মজবীন আনফিনিসড,সেখানে অভিনেত্রী জানান কীভাবেে হৃত্বিক নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছিলেন যাতে ক্যানসার আক্রান্ত প্রিয়াঙ্কার বাবার চিকিত্সায় কোনও খামতি না থাকে। প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, হৃত্বিক খুব দ্রুত একটি বিমানের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন যাতে আরও উন্নত চিকিত্সার জন্য লন্ডনে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভবপর হয় অসুস্থ অশোক চোপড়াকে।
প্রিয়াঙ্কার কথায়, ‘অবিশ্বাস্যভাবে, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্টির অন্যতম সফল অভিনেতা হৃত্বিক এয়ার ইন্ডিয়াতে নিজের প্রভাব খাটিয়ে আমার বাবার জন্য দ্রুত একটা বিমানের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল যাতে তাঁকে লন্ডনে উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারি চিকিত্সার জন্য’। অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘যদি আমাদের চারপাশে মহান আর দয়ায় ভরপুর মানুষজন থেকে থাকে তাঁরা হৃত্বিক এবং তাঁর বাবা রাকেশ স্যার, তাঁরা বস্টনে আমার পরিবার ছিল- আমার সন্দেহ ছিল আমি বাবাকে ওখানে নিয়ে যেতে পারব কিনা। আমার কাছে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই, কিন্তু এই কৃতজ্ঞতাটা সত্যিই আমার মনে আজীবন থাকবে’।
২০১৩ সালে মৃত্যু হয় প্রিয়াঙ্কার বাবার। সেই সময় কার্যত নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। জীবনের সবচেয়ে কঠিন সেই মুহূর্তগুলির কথা মলাটবন্দি করেছেন দেশি গার্ল। প্রিয়াঙ্কা লিখেন, ‘প্রিয় পাপা, তোমার গল্পটাও এই বইয়ের নামের মতোই আনফিনিসড। আমার মনে তুমি আজীবন থাকবে, আমি নিজেকে সম্পূর্ন রূপে তোমাকেই সঁপে দিয়েছে। মিস ইউ ড্যাড’।
হৃত্বিকের সঙ্গে তিনটি ছবিতে কাজ করেছেন প্রিয়াঙ্কা। পরিচালক রাকেশ রোশনের কৃষ, কৃষ ৩ এবং ধর্মা প্রোডাকশনের ‘অগ্নিপথ’। অফ-স্ক্রিনে প্রিয়াঙ্কার অন্যতম কাছের বন্ধু হৃত্বিক রোশন।