রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বাংলার ঘরের মেয়ে। সিনে জগৎ থেকে বহুদিন, বহু বছর দূরে তিনি। শেষ উইন্ডোজ প্রোডাকশনের রামধনু ছবিতে একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে বড় পর্দা থেকে দূরে থাকলেও তিনি বাংলার কাছে দিদি নম্বর ওয়ান। তাঁর এই শোয়ের হাত ধরেই তিনি পেয়েছেন বিপুল জনপ্রিয়তা এবং খ্যাতি। আর এবার তিনি পা রেখেছেন রাজনীতির ময়দানে। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে হুগলি কেন্দ্র থেকে লড়ছেন তৃণমূলের হয়ে। কিন্তু কেন রাজনীতিতে? কী জানালেন সেই প্রসঙ্গে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়?
রাজনীতিতে আসা প্রসঙ্গে কী জানালেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়?
দিদি নম্বর ওয়ানের মতে তিনি এই শো থেকে সব কিছু পেয়েছেন জীবনের। কিন্তু কথাতেই বলে কিছু নিলে কিছু দিতেও হয়। তাই এতদিন কেবল নেওয়ার পর এবার সেটা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি রাজনীতিতে এসেছেন। মানুষের জন্য কাজ করতে চান বলেই তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন। দাবি রচনার।
বর্তমানে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে জমিয়ে প্রচার সারছেন। এদিন প্রচারের ফাঁকে হুগলির চুঁচুড়ায় তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। আড্ডাও দেন কিছুক্ষণ। সেখানেই তিনি রাজনীতিতে আসা প্রসঙ্গে বলেন, 'জীবনে টাকা পয়সা, প্রতিপত্তি, ভালোবাসা, সংসার, ছেলে সব পেয়েছি। এবার দেওয়ার পালা তাই রাজনীতিতে এলাম।'
এদিন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, 'মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার খুবই ভালো সম্পর্ক। উনিই আমায় রাজনীতিতে আসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রথমে ভাবছিলাম যে কী করব। ছেলে, সংসার, কাজ, ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকি। তখন দিদি বলল কী ভাবছ। ছেলের কথা বলায় বললেন তোমার ভাবার জন্য আরও অনেক জিনিস আছে, ছেলে বড় হয়ে গিয়েছে। আর কিছুদিন পর প্রতিষ্ঠিত হয়ে বাইরে চলে যেতে পারে।' রচনার দাবি মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই তিনি রাজি হন।
আরও পড়ুন: নববর্ষে সৌরভকে বিশেষ গান উৎসর্গ সাহেবের, করতে গেলেন প্রণামও! কাদের গানে রবিবার জমবে দাদাগিরির মঞ্চ?
প্রসঙ্গত রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে বর্তমানে ক্লাস টুয়েলভে পড়ে। ছেলে এখন বেশ বড় তাই রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি স্রেফ যে মানুষের কাছ থেকে অনেক পেয়েছেন তাঁদের কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। মানুষের জন্য কাজ করাই তাঁর লক্ষ্য, দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের হুগলির প্রার্থী।