প্রিয়াঙ্কাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন রাহুল।
ভালোবাসা থাকলে হয়তো কোনও পরিস্থিতিই আলাদা করতে পারে না। আপাতত মানুষের কাছে এমন বার্তাই পৌঁছে দিয়েছেন অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার। চিরদিনই তুমি যে আমার দিয়ে দর্শকমনে চিরস্থায়ী ছাপ ফেলে গিয়েছিলেন এই দুই অভিনেতা। শুধু তাই নয়, জীবনসঙ্গী হিসেবে খুঁজে পেয়েছিলেন একে-অপরকে। বিয়েও করে নেনে ঝটাপট। জন্ম হয় সহজের। তবে মাঝখানে বেড়েছিল দূরত্ব। আদালতেও গিয়েছিলেন ডিভোর্সের আইনি পদ্ধতি নিয়ে। তবে করোনা আর লকডাউন ফের কাছাকাছি নিয়ে আসে তাঁদেরকে। ২০২২ সাল থেকে একসঙ্গে ছবি দেখা যেতে শুরু করে দুজনার।
৩১ ডিসেম্বর প্রিয়াঙ্কা পা রাখলেন ৩৪ বছরে। আর বউকে শুভেচ্ছা জানাতে ভালোবাসা উজার করে দিলেন রাহুল সামাজিক মাধ্যমে। দুজনের বউ পুরনো একটা ছবি দিলেন। কালো স্যুট পরে আছেন তিনি। সামান্য পিছনে দাঁড়িয়ে প্রিয়াঙ্কা। তাকিয়ে আছেন রাহুলের দিকে। ক্যাপশনে লিখলেন, ‘উও উমানিয়া! আমি ভালোবাসি তোমাকে। মেনি মেনি হ্যাপি রিটার্নস অফ দ্য ডে’।
প্রিয়াঙ্কাকে জন্মদিনেরশুভেচ্ছা জানিয়ে রাহুলের এই পোস্ট মন কেড়ে নিল নেট-নাগরিকদের। একজন লিখলেন, ‘তোমাদের কী যে ভালো লাগে’। আরেকজন আবার আবদার করে লিখলেন, ‘সহজের সঙ্গে একটা ছবি দিও না প্লিজ।’
২০১০ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন রাহুল আর প্রিয়াঙ্কা। বৈবাহিক জীবনের ৮ বছর পেরোতে না পেরোতেই সম্পর্কে তিক্ততা আসে। দূরে যান তাঁরা। তবে সহজের জন্যই ‘সহজ’ হয়েছে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সম্পর্ক। ২০১৮ সালের পর থেকে যে ডিভোর্সের মামলা চলছিল, তা ২০২৩-এ এসে বন্ধ করে দেন দুজনেই। মাঝে দুজনের নাম জড়িয়েছিল একাধিক সম্পর্কে। সন্দীপ্তা সেন থেকে রুকমা রায়, রাহুলের ‘নতুন প্রেম’ নিয়ে কম জল্পনা হয়নি। অন্য দিকে, প্রযোজক রাণা সরকারের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কাকে জড়িয়েও নানা কথা রটেছিল টলিমহলে।
সম্পর্ক জোড়া লাগার পর এক সাক্ষাৎকারে রাহুল জানিয়েছিলেন, প্রিয়াঙ্কা যে বিল্ডিংয়ে থাকেন, সেখানেই ফ্ল্যাট কিনছেন তিনি। যাতে একসঙ্গে থাকতে পারেন। অন্য দিকে, প্রিয়াঙ্কাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমরা একে অপরকে অনেক দোষারোপ করেছি। তবে আমি বুঝেছি আমারও কিছু ভুল ছিল, সেগুলি আর না করার চেষ্টা করছি। আর রাহুলও এখন অনেক পরিণত। তাই ওকে আরেকবার সুযোগ দিতে চাই।’
কাজের সূত্রে, রাহুলকে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ সিরিয়ালে। ব্যোমকেশ ওয়েব সিরিজে অজিতের চরিত্রে দেখা মিলেছে হইচইয়ে। আর প্রিয়াঙ্কার শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ছিল কুরবান, অঙ্কুশ হাজরার বিপরীতে। যদিও এটি সেভাবে ব্যবসা করতে পারেনি সিনেমা হলে।