‘খোকার বাবা-মা যখন খোকা খুকু ছিল…’! ডিভোর্স বাতিল আগেই, প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে স্মৃতি হাতড়ালেন রাহুল

আজকাল হামেশাই সামাজিক মাধ্যমে পরিবারের ছবি শেয়ার করে নেন রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার স্মৃতির পথ ধরে খোকা-খুকু বয়সের ছবি প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে।

বিয়ের দ্বিতীয় ইনিংস রাহুল-প্রিয়াঙ্কার।

বছরখানেক আগেও দুজনের মধ্যে চলছিল ডিভোর্সের মামলা। তবে করোনা আর লকডাউন কাছাকাছি আনেন রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রিয়াঙ্কা সরকারকে। আপাতত ডিভোর্সের মামলা তুলে নিয়েছেন তাঁরা। একমাত্র ছেলে সহজের কথা ভেবেই বদলেছেন সিদ্ধান্ত। শুরু করেছেন সব নতুন করে।

আজকাল হামেশাই সামাজিক মাধ্যমে পরিবারের ছবি ভাগ করে নেন রাহুল। এবার স্মৃতির পথে হেঁটে ভাগ করলেন বেশ পুরনো একটা ছবি। খুব সম্ভবত তা চিরদিনি তুমি যে আমার-এর সময়কার। সোফায় পাশাপাশি বসে দুজনে। প্রিয়াঙ্কার হাতে চায়ের কাপ। ক্যাপশনে রাহুল জুড়লেন, ‘খোকার বাবা মা যখন খোকা খুকু ছিল…’

নেটপাড়ায় খুব জনপ্রিয় রাহুল-প্রিয়াঙ্কার জুটি। এই পোস্টেও ভালোবাসা জানানো হল ভরে ভরে। এক নেট-নাগরিক কমেন্টে লিখলেন, ‘দুজনে একসঙ্গে একটা সিনেমা বা সিরিজ করো প্লিজ’। অপরজনের মন্তব্য, ‘এইভাবে একসঙ্গে থাকো। তোমরা আমার চাইল্ডহুড ক্রাশ।’ তৃতীয়জন লিখলেন, ‘কী মিষ্টিই যে লাগে তোমাদের’।

‘চিরদিনই তুমি ষে আমার’ সিনেমা দিয়ে দুজনেরই হাতেখড়ি হয়। আর ছবির রোম্যান্স, ব্যক্তিগত জীবনেও চলে আসে। ভালোবেসে ফেলেন তাঁরা একে-অপরকে। খুব ছোট বয়সেই নেন বিয়ে করার সিদ্ধান্ত। খানিকটা বাড়ির অমতেই। ২০১০ সালে ঘোরেন সাতপাকে। দুজনের জুটি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে, টিভিতে লাইভ দেখানো হয় বিয়ে। ২০১৭ সালে করেন ডিভোর্সের মামলা। যা আটকে ছিল নানা কারণে। তবে ২০২২ সালের শেষ থেকেই তাঁরা ডিভোর্সের মামলায় অনুপস্থিত থাকা শুরু করেন। আর ২০২৩ সালে তাঁরা তুলে নেন মামলা। 

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। জানান, সম্পর্কের দিক থেকে তাঁরা একসঙ্গে রয়েছেন। দুজনে মিলে এক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু আরও একটু সময় চান। কারণ, মাঝের কটা বছরে তাঁদের দু’জনের জীবনেই অনেক কিছু ঘটে গিয়েছে। বিবাহিত জীবন হয়তো একসময় তাঁদের সফল হয়নি। কিন্তু তাঁরা সেই সম্পর্কের বাইরে এখনও বন্ধু এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দুজনেই জানেন একে-অপরের ভুল-ত্রুটিগুলো। আর দুজনেই তাই চেষ্টা করবেন তাঁদের নেওয়া এই উদ্যোগটা সফল হোক।