বলিউডের অবিসাংবাদিতভাবে প্রথম সুপারস্টারের নাম রাজেশ খান্না। নিজের কেরিয়ারে টানা ১৫টি সুপারহিট ছবি বক্স অফিসে উপহার দিয়েছিলেন রাজেশ যে রেকর্ড আজও ভাঙতে পারেনি কোনও বড়পর্দার তারকা। 'আরাধনা', 'কটি পতঙ্গ', 'ইত্তেফাক', 'দো রাস্তে', 'সফর', 'সাচ্চা ঝুটা', 'ছোটি বহু'-র মতো বহু হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন রাজেশ।
প্রতিটি ছবিতে নায়িকার সঙ্গে রাজেশ খান্নার রসায়ন প্রশংসিত হলেও মুমতাজের সঙ্গে তাঁর জুটি অন্য মাত্রা পেয়েছিল। ১০টি ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন এই দুই তারকা। সেই তালিকায় অন্যতম হিট ছবির নাম 'রোটি'। এই ছবির ক্ল্যাইমাক্সের সেই বহু চর্চিত বরফের ওপর হেঁটে যাওয়া দৃশ্যের শুটিংয়ের গল্প নিয়ে একবার মুখ খুলেছিলেন মুমতাজ। 'রোটি' ছবির একেবারে শেষে দেখা গেছিল কাঁধে মুমতাজকে চাপিয়ে হেঁটে পুরু বরফ ঢাকা পথের ওপর দ্রুত পায়ে এগিয়ে চলেছেন রাজেশ। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর কথায় জানা গেছিল, সেই ছবির গোটা ক্লাইম্যাক্স শুট করতে টানা ৮ দিন লেগেছিল।
'মুম্বই মিরর'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে মুমতাজ জানিয়েছিলেন যে মনমোহন দেশাই পরিচালিত এই ছবির চিত্রনাট্যে শেষ দৃশ্যে লেখা ছিল যে তাঁকে কাঁধে চাপিয়ে বরফ ঢাকা রাস্তায় দ্রুত পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন রাজেশ। 'প্রতিদিন শুটিং শুরু হওয়ার আগে আমাকে ইউনিটের সদস্যদের সামনেই 'মোটি' বলে ডেকে উঠে রাজেশ বলতেন, এই চলে আয়। উঠে পড়! আর আমিও দেরি না করে ঝটপট রাজেশের কাঁধে চেপে বসতাম। আমার উচ্চতা ৫'৭ হওয়ার পাশাপাশি চেহারাও বেশ বড়সড় ছিল। মানে স্লিম-্ট্রিম চেহারা কোনওদিনই ছিল না আমার। তাই ৮ দিন শেষে ওই গোটা সিকোয়েন্সের শুটিং শেষ হলে দেখেছিলাম রাজেশের বাঁ কাঁধের চামড়া ফুলে লাল হয়ে গেছিল', শুটিংয়ের পিছনের গল্প ফ্যানস করেছিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
এ প্রসঙ্গে 'পিটিআই'-কেও এক সাক্ষাৎকারে মুমতাজ জানিয়েছিলেন যে তিনি প্রতিদিন ওই দৃশ্যের শুটিং সারার আগে রাজেশকে বলতেন যে এবার তাঁর মতো ১০০ কেজির একটা বস্তাকে কাঁধে নিতে হবে। শুনে তখন হাসতেন 'রোটি'-র নায়ক। 'যদিও রাজেশ বলতেন যে আমায় মোটেও অত ভারি নই তবে সেকথা কোনওদিনও বিশ্বাস হতো না আমার', হাসতে হাসতে জানিয়েছিলেন রাজেশের এই নায়িকা।