বলিউড পার্টি বা অ্যাওয়ার্ড শো-তে যখনই আসেন রেখা, মন জিতে নেন ভক্তদের। শুধু তাঁর অসাধারণ রূপ বা জৌলুস দিয়েই নয়, রেখাকে ভালোবাসে নেট-নাগরিকরা তাঁর মিষ্টি স্বভাবের জন্যও। এমনকী, খুব সহজে ছবি তুলতে আসা পাপারাজ্জিদেরও আপন করে নেন। সম্প্রতি এক ফাংশনে প্রবীন অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে দেখা গেল রেখাকে।
মুম্বাইতে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ খেতে পৌঁছেছিলেন রেখা। উপস্থিত ছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা ও তাঁর স্ত্রী পুনম সিনহাও। আর সেখানে রেখার মুখোমুখি হতেই ৬৯ বছরের রেখা পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন ৭৭ বছরের শত্রুঘ্নকে। এরপর পুনমকে জড়িয়ে ধরে আদরও করতে দেখা গেল অভিনেত্রীকে।
পাপারাজ্জির শেয়ার করা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, রেখা হেঁটে আসছেন শত্রুঘ্নের দিকে। এরপর প্রথমে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন ও তারপর জড়িয়ে ধরেন। এরপর পুনমকেও জড়িয়ে ধরেন রেখা। সবার শেষে একসঙ্গে ফোটোর জন্য পোজও দেন তাঁরা।
তবে রেখাকে এভাবে শত্রুঘ্ন সিনহার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে দেখে হতবাক নেট-নাগরিকরা। একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘এরা দুজন এক বয়সী না প্রায়!’ অপরজন লিখলেন, ‘রেখা কেন যে এরকম অদ্ভুত অদ্ভুত কাজ করে কে জানে!’ তৃতীয়জন লিখলেন, ‘কচি সাজার চেষ্টা করছে! মেকআপ করে তো আর কমানো যাচ্ছে না বয়স।’
রেখা এবং শত্রুঘ্ন সত্তর এবং আশির দশকে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবিতে কাজ করেছেন, যার মধ্যে ১৯৮৮ সালের সিনেমা খুন ভরি মাঙ্গ সবচেয়ে জনপ্রিয়। রামপুর কা লক্ষ্মণ এবং, দো ইয়ার (১৯৭২), কশমকাশ (১৯৭৩), কেহতে হ্যায় মুজকো রাজা (১৯৭৫), পরমাত্মা (১৯৭৮), জানি দুশমন এবং, মুকাবলা (১৯৭৯), চেহেরে পে চেহরা (১৯৮১), মাটি মাঙ্গে খুন (১৯৮৪)-এর মতো ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন। ।
তবে একসঙ্গে এত ছবিতে কাজ করার পর মাঝে বেশ কয়েকবছর একে-অপরের সঙ্গে কথা বলেননি শত্রুঘ্ন ও রেখা। ‘কিছু বোকাবোকা বিষয় নিয়ে আমাদের মত পার্থক্য হয়েছিল। তারপর আমরা ২০ বছর একে-অপরের সঙ্গে কথা বলিনি।’, জানিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন। এবং এই দুই সহ-অভিনেতার মধ্যে পুণরায় বন্ধুত্ব করিয়ে দেওয়ার কাজ করেছিলেন পুনম। ‘রেখা এবং পুনম ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। আর তাই রেখার সঙ্গে আমার তথাকথিত ঠান্ডা লড়াও ওর আর রেখার বন্ধুত্বে অসুবিধা সৃষ্টি করছিল। সে তার নিজের স্বার্থের কারণেই আমাদের প্যাচ আপ করিয়ে দেয়। এবং আমিও আনন্দের সঙ্গে অতীতকে ভুলে যেতে রাজি হয়েছিলাম।’, জানিয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা।