সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে আপতত বড়সড় বিপাকে প্রয়াত অভিনেতার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী। রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তের পরিবারের তরফে বিস্ফোরক অভিযোগ আনা হয়েছে। সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র,তাঁর টাকা আত্মসাত্ করার মতো অভিযোগ রয়েছে জলেবি নায়িকার বিরুদ্ধে। পাটনা পুলিশের এফআইআরের কপির ভিত্তিতে শুক্রবার স্বতঃপ্রণোদিতভাবে রিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের মামলাও দায়ের করেছে ইডি।
সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রিয়াকে কাঠগড়ায় দাঁড়া করিয়েছেন সুশান্ত ভক্তরা। সুশান্তের পরিবারের অভিযোগ সেই ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের খবর সামনে এসেছিল। এরপর থেকে ‘বেপাত্তা’ই ছিলেন অভিনেত্রী। অবশেষে শুক্রবার মুখ খুললেন রিয়া চক্রবর্তী। তিনি একটি ভিডিয়ো বার্তা জারি করে বললেন, ‘সত্যমেব জয়তে’। হ্যাঁ, সত্যের জয় নিশ্চিত এ কথাই বলতে শোনা গেল সুশান্তের বান্ধবীকে। মাত্র ২০ সেকেন্ড দীর্ঘ এই ভিডিয়ো বার্তায় ঠিক কী বলেছেন রিয়া ?
রিয়া বলেন, 'আমার ভগবান এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমি নিশ্চিত আমি সুবিচার পাব। যদিও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে আমার সম্পর্কে বহু ভয়ঙ্কর কথা বলা হচ্ছে আমি কোনওরকম মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকছি আমার আইনজীবীদের পরামর্শে। যেহেতু মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। সত্যমেব জয়তে। সত্যের হয় হবেই'।
সুশান্তের বাবা কেকে সিং রিয়া ও অভিনেত্রীর পুরো পরিবার এবং ম্যানেজাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত, সুশান্তের সঙ্গে প্রতারণা (আর্থিক ও মানসিক) এবং তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মতো অভিযোগ এনেছেন কেকে সিং। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা), ৩৪১,৩৪২,৩৮০,৪০৬, ৪২০-ধারায় গত ২৫ জুলাই এফআইআর দায়ের করেছেন।
‘ক্ষমতা’র অপব্যবহার করে রিয়া চক্রবর্তীকে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ায় চেষ্টা করছে প্রয়াত অভিনেতার পরিবার! সেই কারণেই পাটনায় রিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং, সুপ্রিম কোর্টের কাছে এমনই আর্জি জানিয়ে গত বুধবার পিটিশন দায়ে করেছেন রিয়া চক্রবর্তী। রিয়ার তরফে এই পিটিশনের জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানানো হলেও এখনও সর্বোচ্চ আলাদতে এই আবেদনের কোনওরকম শুনানি প্রক্রিয়া হয়নি।
পিটিশনে রিয়া মেনে নিয়েছেন সুশান্তের সঙ্গে লিভ-ইন রিলেশনশিপে ছিলেন তিনি। এবং সুশান্তের মৃত্যুর পর ব্যক্তিগত পর্যায়ে তিনি ভীষণরকমভাবে ভেঙে পড়েছেন। এবং এই মামলা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলা কাটাছেঁড়া তাঁর যন্ত্রণা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।