টয়লেটে পা রাখতেই চূড়ান্ত বিপত্তিতে পড়লেন রুদ্রনীল ঘোষ ! দেখলেন বাথরুমের দরজা হাট করে খোলা ভিতরের দিকে। প্রকৃতির ডাকে স্বাভাবিক ভাবেই কার্যত মাথায় হাত অভিনেতার। এই আজব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন অভিনেতাকে হতে হয়েছে রানির শহরে গিয়ে, মানে লন্ডনে। আপতত ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যেই ঘাঁটি গেড়েছেন রুদ্রনীল, সৌজন্যে পরিচালক সায়ন্তন ঘোষালের ছবি স্বস্তিক সংকেত। আর সেখানে গিয়েই এইরকম বিরল অভিজ্ঞতার মুখে পড়লেন তারকা। সেই কাণ্ডকারখানার গল্প ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে শেয়ার করে রুদ্রনীল লেখেন- ‘লন্ডন ও নিরীহ বাঙালি’।
এই বিষয়ে এক সাংবাদমাধ্যমকে রুদ্রনীল জানান প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে টয়লেটের খোঁজ চালাচ্ছিলেন তিনি, সেই সময়ই নিরাপত্ত রক্ষীরা তাঁকে শৌচালয়ের সন্ধান দেয়। কিন্তু সামনে গিয়ে সেখান থেকে মহিলাদের বেরিয়ে আসতে দেখে ঘাবড়ে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে যান তিনি। পরে সামনে গিয়ে একটু ঝুঁকে উঁকি দিতেই দেখতে পান আসল ব্যাপারটা। উপলব্ধি করলেন , এটি আসলে ইউনিসেক্স টয়েলটস। আসলে লন্ডনে সব টয়লেটই ইউনিসেক্স- নারী-পুরুষ লিঙ্গ ভেদটাই নেই।
স্বাভাবিক ভাবেই এই ‘নিরীহ বাঙালি’কে নিয়ে মস্করা করতেও ছাড়েননি অনুরাগী ও টলিউডের বন্ধুরা। ঐন্দ্রিলা তো সোজা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, তুমি কী করলে? গেলে নাকি বেরিয়ে এলে? বেশিরভাগ অনুরাগীর পরামর্শ ছিল , ‘সাত-পাঁচ না ভেবে ঢুকে যাওয়াই ভাল !’
কথায় কথায় রুদ্রনীল শেয়ার করলেন লন্ডনে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা, ‘দিন পনেরো হয়ে গিয়েছে টিম ‘স্বস্তিক সংকেত’ লন্ডনে। শুটিং স্পট ১৮ শতকের কাটিশার্ক জাহাজ। লন্ডনের ঘড়ি অনুযায়ী ভোর ৬-৭টার মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছে সকলে সেখানে। রহস্য রোমাঞ্চ ছবি। ফলে প্রচুর দৌড়-ঝাঁপ। জাহাজটা অবিকল ১৮ শতকের ইতিহাস গায়ে মেখে দাঁড়িয়ে। সেইখানে সবাই একবার উঠছি, একবার নামছি।’
শুটিংয়ের ফাঁকে লন্ডন শহরটাও বেড়িয়ে দেখছেন অভিনেতা। দেখে নিয়েছেন অক্সফোর্ড চত্বর, সমস্ত জাদুঘর।আবার দেখেছেন কাশফুলও! আরও একটা জিনিস খুব ভাল লেগেছে রুদ্রনীলের। অভিনেতা জানান লন্ডন পৌরসভার নিয়মে ওখানে বাড়ি তৈরির তিনটি স্ট্রাকচার। সেই স্থাপত্য মেনেই বাড়ি বানাতে হবে। ফলে, শহরের সমস্ত বাড়ির গঠন এক। দেখনদারির কোনও সুযোগই নেই। আর সব বাড়ির রং সাদা-বাদামি।