বছর শেষে দু দুটো হিট সিনেমা এসেছে প্রেক্ষাগৃহে। প্রভাসের সালার আর শাহরুখ খানের ডাঙ্কি। তবে বক্স অফিসের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, শাহরুখ খানের সিনেমা অনেকটাই ঠান্ডা পড়ে গিয়েছে দক্ষিণের অ্যাকশন ফিল্ম সালার-এর সামনে। এর আগে ২০১৮ সালেও একই ছবি দেখেছিল সকলে। যখন মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিলে জিরো আর কেজিএফের। সেই সময় শাহরুখের ছবি খেয়েছিল ‘গোল্লা’। .sacnilk.com-এর প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে, বৃহস্পতিবারে ডাঙ্কি ব্যবসা করল ৯ কোটির, আর সালারের ছবির আয় ১৩ কোটি।
চলতি বছরে দু দুটো ১০০০ কোটির সিনেমা উপহার দিয়েছেন কিং খান। পাঠান আর জওয়ান পেয়েছে অলটাইম ব্লকবাস্টারের তকমা। ভারতের বাজারেও এই দুটি সিনেমার আয় ছিল ৫০০ কোটির উপরে। অনেকেই আশা করেছিলেন, ডাঙ্কিও হাঁটবে সেই একই পথে। পরপর ৫০০ কোটি দিয়ে করবেন হ্যাট্রিক। কিন্তু এখন তা অসম্ভবই ঠেকছে।
ডাঙ্কি বক্স অফিস কালেকশন
সালার আসার একদিন আগে মুক্তি পেয়েছিল ডাঙ্কি ২১ ডিসেম্বরে। সেই হিসেবে বৃহস্পতিবার ছিল ছবির অষ্টম দিন। মুক্তিতে কিং খানের ছবি ব্যবসা করেছিল ২৯.২ কোটির। তারপর মাঝে রবিবার তা বেড়ে হয় ৩০.৭ কোটি। বাদবাকি দিনে এই সিনেমার আয় অনেকটাই কম থেকেছে। আপাতত ৮ দিনে ১৬১.০১ কোটি আয় করল ডাঙ্কি।
রাজকুমার হিরানির সঙ্গে এটাই প্রথম কাজ ছিল শাহরুখের। এর আগে থ্রি ইডিয়টস, মুন্নাভাই এমবিবিএস-এর মতো অফার ফিরিয়েছিলেন বাদশা। পঞ্জাবের কুখ্যাত ‘ডাঙ্কি রুট’ দিয়ে তিন বন্ধুর লন্ডন যাত্রাকেই তুলে ধরেছে এই সিনেমা। শুধু তাই নয়, অভিবাসন সমস্যাকেও ফোকাসে রেখেছেন রাজু হিরানি। ছবি জুড়ে রয়েছে একাধিক আবেগ! কখনও হাসি, কখনও চোখের কোণে চিকচিক করা জল দর্শককে আটকে রাখবেই সিটের সঙ্গে।
সালার বক্স অফিস কালেকশন:
সালার খাতাই খোলে ৯০ কোটি দিয়ে। হিন্দির সঙ্গে তেলেগু, মালয়ালাম, তামিল, কন্নড় ভাষায় মুক্তি পয়েছে এই সিনেমা। এর মধ্যে তেলেগু ভাষাতেই ছবি ব্যবসা করছে সবচেয়ে বেশি। ৭ দিনে ৩০৮ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে সালার। যদিও হিন্দি থেকে আয় হয়েছে এর অর্ধেকেরও কম।
দিন ভিত্তিক সালারের হিন্দি কালেকশন-
শুক্রবার-১৫.৭৫, শনিবার-১৬.৩৫, রবিবার- ২১.১, সোমবার- ১৫, মঙ্গলবার- ৯.১, বুধবার- ৭.৫, বৃহস্পতিবার- ৫ কোটি। আর যার মোট হিসেব গিয়ে দাঁড়ায় ৯০ কোটি মতো। আর হিন্দির মার্কেটের কথা মাথায় রাখলে ডাঙ্কির থেকে অনেকটাই পিছিয়ে প্রভাসের সালার।