১২ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছে সলমন খান এবং ক্যাটরিনা কাইফ অভিনীত ‘টাইগার ৩’। বক্স অফিসে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে এই ছবি। মঙ্গলবার শিশু দিবসের দিন বেশ কিছু খুদে ভক্তদের সঙ্গে সেলিব্রেট করেছেন সলমন। খুদে ভক্তদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটানোর পর বেরিয়ে আসতেই সাল্লু ভাইকে ছেঁকে ধরেছেন ভক্তরা।
এক পাপারাৎজ্জির অ্যাকাউন্ট থেকে সলমনের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, ভক্তদের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে গাড়ির দিকে যাচ্ছেন অভিনেতা। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, সেখানেই সলমনকে ছেঁকে ধরেছেন ভক্তরা। নিরাপত্তারক্ষীরা কোনওপ্রকারে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন অভিনেতাকে। গাড়ির দরজা পর্যন্ত পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি। সিকিউরিটি টিম অপেক্ষায় ছিলেন কতক্ষণে ভিড় ঠেলে অভিনেতাকে গাড়িতে তুলবেন। দেখুন ভিডিয়ো-
আরও পড়ুন: LA-এর বাড়িতে লিলির ল্যাভিশ দীপাবলি পার্টি, হাজির সঙ্গীত জগতের বিরাট তারকারা
বড় নিরাপত্তা সঙ্গে নিয়ে সবসময় চলাফেরা করেন সলমন। বিশেষ করে যেহেতু তিনি এই বছরের শুরুতে খুনের হুমকির মুখে পড়েছিলেন। বিষ্ণোই গ্যাং থেকে মৃত্যুর হুমকি পাওয়ার পর তাকে Y+ নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল অভিনেতাকে।
কয়েক বছর আগে, গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই সলমন খানকেও কালো হরিণ মামলায় জড়িত থাকার জন্য মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। সিধু মুসেওয়ালার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিষ্ণোই গ্যাং তাঁর হত্যার কথা স্বীকার করে পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবং এই ঘটনার পরপরই সুপারস্টার সলমন খান একটি বেনামী চিঠি পেয়েছিলেন। যাতে লেখা ছিল, ‘মুসেওয়ালার মতো তোমাকেও মেরে ফেলব’। যা নিয়ে সেইসময় কম হইচই হয়নি।
‘ওয়াই প্লাস’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তায় রয়েছেন সলমন খান। সিধু মুসেওয়ালার খুনের পর সলমনকে এই নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী শেরার পাশাপাশি সলমনের নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘণ্টা হাজির থাকেন কমান্ডো-সহ ১২ জন পুলিশকর্মী। ‘ওয়াই প্লাস’ ক্যাটেগরির আগে ‘এক্স’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেতেন সলমন। পরে অভিনেতার নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে মহারাষ্ট্র সরকার নিরাপত্তার পরিধি বাড়িয়ে দেয়।