কেকে-র মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল সকলকে। যেই মানুষটা ঘণ্টাখানেক আগেও স্টেজে লাইভ শো করেছেন, তাঁর যে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হতে পারে কেউ যেন ভাবতে পারেনি। আর এই প্রসঙ্গেই গায়ক শান জানালেন কেকে মারা যাওয়ার পর থেকে তাঁর কাছে অনেক ম্যাসেজ এসেছে, সকলেরই অনুরোধ যাতে তিনি নিজের খেয়াল রাখেন।
কলকাতার নজরুল মঞ্চে প্রোগ্রাম শেষ করে হোটেলে ফিরেই মারা যান কেকে। প্রয়াত গায়কের ময়নাতদন্ত করেছেন যেই ডাক্তাররা জানিয়েছেন কেকে-র হার্টে বেশ কিছু ব্লকেজ ছিল। তবে সময়মতো সিপিআর (cardiopulmonary resuscitation) করা গেলে প্রাণ বেঁচে যেত। সঙ্গে ডাক্তাররা আরও জানিয়েছেন কেকে-র হার্টের সমস্যা বহুদিনের, যা তিনি অদেখা করে অ্যাসিডিটি ভেবে ওষুধ খেয়ে গিয়েছেন।
শান সম্প্রতি জানালেন তাঁর দুই ছেলে সোহম আর শুভ মুখোপাধ্যায় তাঁকে জোর করে ডাক্তারের কাছে পাঠিয়েছে চেকআপের জন্য। ছেলেদের অনুরোধ মেনে তিনি সময় বের করে গিয়েছেন ডাক্তারের কাছে, সঙ্গে সবাইকে শান অনুরোধও করেন যাতে সবাই সময় বের করে নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেকআপ করে। আরও পড়ুন: কেকে-র গান ‘প্যায়ার কা পল’ গাইতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন উষা উত্থুপ! ভিডিয়োয় দেখুন
কলকাতার উদ্যোক্তদের তরফ থেকে কী কোনও খামতি থেকে গিয়েছে জানতে চাওয়া হলে শান জানান, ‘শুধুমাত্র শিল্পীদের জন্য নয়, ৩০০-৪০০ লোক হলেই দর্শকদের ক্ষেত্রেও যে কোনও রকমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। একটা শো করার জন্য নানা ধরনের অনুমতি নিতে হয়, খরচসাপেক্ষও। নিয়মের মধ্যে পড়ে শো-এর জায়গায় অ্যাম্বুলেন্স রাখা। প্রত্যেক ইভেন্ট কোম্পানিরই এগুলো রাখা উচিত। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের ব্যবস্থাপনা জটিল হচ্ছে। আমরা সবাই এমন শো করি যখন ভিড় আমাদের আতঙ্কিত করে তোলে। কিন্তু লাইভ শো-র সময় তুমি কী বা করতে পারবে! তোমাকে শো করতেই হবে। আমি জানি কেকে মাসে আটখানার বেশি শো করতই না। নিজের খেয়াল রাখত।’
শান বলেন, কেকে মারা যাওয়ার পর অনেকেই তাঁকে ম্যাসেজ করেছে ‘নিজের খেয়াল রেখো’, ‘নিজের যত্ন নিও’ লিখে। তাঁর ছেলেরাও তাঁকে বলে ডাক্তারকে দেখিয়ে আসতে। এরপর তিনি যান চেকআপে। সঙ্গে শান বলেন, ‘আমার এটা ভাবলেও খারাপ লাগে ওর আশেপাশের কেউ বুঝল না ওর যে হার্টের সমস্যা। আমি এটা সবাইকেই বলতে চাই। ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেই কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে দু'বছর পর পর হেলথ চেকআপ করানো।’