তিনি এলেন, দেখালেন এবং জয় করলেন। পাঠানের পর জওয়ান ছবিটি আরও একবার রেকর্ড করল। প্রথমদিন তুমুল সাফল্য পেয়ে ৭৫ কোটি টাকা আয় করেছে শাহরুখের এই ছবি। দ্বিতীয়দিন তো সোজাসুজি ১০০ কোটির গণ্ডি টপকে গিয়েছে। এই বছর জানুয়ারি মাসে মুক্তি পাওয়া পাঠান ছবিটিও একটার পর একটা রেকর্ড ভেঙে বলিউডের সব থেকে বেশি আয় করা ছবি খেতাব জিতেছিল। তবে পাঠান ছবিটি নিয়ে আসার আগে শাহরুখ খান ৪ বছরের একটা লম্বা বিরতি নিয়েছিলেন। তার আগে তাঁর করা শেষ ছবি জিরোর বক্স অফিসে ভরাডুবি হয়েছিল। কিন্তু শাহরুখ কি তাঁর এই নতুন ছবিগুলি নিয়ে নার্ভাস ছিলেন? কী জানিয়েছিলেন তিনি একটি সাক্ষাৎকারে?
পাঠান মুক্তি পাওয়ার আগে একটি সাক্ষাৎকারে এক সাংবাদিক কিং খানকে জিজ্ঞেস করেছিলেন তিনি নার্ভাস তাঁর আসন্ন ছবি তিনটি নিয়ে? উত্তরে শাহরুখ খান বলেন, 'আমার মনে হয় না আমার নার্ভাস হওয়ার প্রয়োজন আছে। আমি জানি তিনটি ছবিই সুপারহিট হবে। আমি এই বিশ্বাস নিয়েই ঘুমাতে যাই, ঘুম থেকে উঠি। আর বিশ্বাসের জোরেই আমি এই ৫৭ বছর বয়সে এসে স্টান্ট করি, লাফাই, এটা না একটা শিশুসুলভ অনুভূতি। আমি জানি আমি নিজেকে নিজের সেরাটা দিয়ে তৈরি করেছি, সেরাটা দিয়ে কাজ করেছি আর তাই আমি জানি এই পরীক্ষায় দারুণ ভাবে পাশ করে যাব। না, আমি একদম নার্ভাস নই। বরং আমি আবারও শাহরুখ খানকে পর্দায় দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি।'
আরও পড়ুন: জওয়ানের পরিচালকের হাত কেটে ফেলার দাবি জনৈকের! আচমকা হল কী?
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দিনেই ১০০ কোটির গণ্ডি পার জওয়ানের, শুক্রবার কত ঘরে তুলল শাহরুখের ছবি?
তবে কি কিং খানের ভবিষ্যদ্বাণী সফল হল? সেটা তো ডাঙ্কির ফলাফল দেখলেই বোঝা যাবে। আপাতত যে উত্তরটা আংশিক সত্য সেটা প্রমাণিত। এটাও প্রমাণিত যে সময়ের দাবি মেনে কিং খান নিজেকে ভেঙেছেন, গড়েছেন, বদলেছেন। কনটেন্টের উপর জোর দিয়েছেন। রোম্যান্টিক হিরো থেকে অ্যাকশন হিরো হয়ে উঠেছেন।
প্রসঙ্গত, জওয়ান ছবিটি ৭ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছে। এই ছবিতে শাহরুখ খান ছাড়াও নয়নতারা, বিজয় সেতুপতি আছেন। সঙ্গে সানিয়া মালহোত্রা, সুনীল গ্রোভার, সঞ্জিতা ভট্টাচার্য প্রমুখ রয়েছেন।