আর্থিক তছরুপের মামলায় শনিবারও ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন রিয়া চক্রবর্তীর ভাই

শুক্রবারের পর শনিবারও মুম্বইয়ের ইডির দফতরে দেখা মিলল সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার অন্যতম অভিযুক্ত শৌভিক চক্রবর্তীর।

মুম্বইয়ে ইডির অফিসের বাইরে শৌভিক 

শুক্রবারের পর শনিবারও মুম্বইয়ের ইডির দফতরে হাজির হলেন রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী। যদিও এদিন হাজির হননি সুশান্তের মৃত্যু মামালর মূল অভিযুক্ত রিয়া। রিয়ার পাশাপাশি সুশান্তের মৃত্যুর মামলায় দায়ের সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম রয়েছে শৌভিকেরও। ইডির এনফোর্টমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট বা ইসিআইআর রিপোর্টেও নাম রয়েছে শৌভিকের। এদিন বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ ইডির বালার্ড এস্টেট এলাকাস্থিত দফতরে হাজির হন শৌভিক। কালো টি-শার্টে পাওয়া গেল এই অভিযুক্তকে। এদিনও তাঁকে জেরা করা হবে নাকি কোনও নথি দিতে তিনি এসেছে তা স্পষ্ট নয়। 

শুক্রবার সকালে টালবাহানার পর নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১ ঘন্টা পর মুম্বইয়ে ইডির দফতরে পৌঁছেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী, সঙ্গে ছিলেন শৌভিকও। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্ত করছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। প্রায় ন ঘন্টা জেরার পর  রাত পৌনে ন'টায় ইডির দফতর থেকে বেরোতে দেখা যায় ভাই-বোনকে।  যদিও দফায় ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছেন শৌভিক। শুক্রবার দুপুর তিনটে নাগাদ তিনি বেরিয়ে গিয়েছিলেন সেখান থেকে, দু ঘন্টা পর বিকাল পাঁচটা নাগাদ তিনি ফিরে আসেন। সূত্রের খবর তদন্তকারী অফিসারদের তরফে দাবি করা কোনও নথি নিয়ে আসতেই ফেরত গিয়েছিলেন শৌভিক। 

 রিয়া, শৌভিকের পাশাপাশি শুক্রবার জেরার মুখে পড়তে হয়েছে এই মামলার অপর অভিযুক্ত অভিনেত্রীর বিজনেস ম্যানেজার শ্রুতি মোদীকে। এছাড়াও জেরা করা হয় রিয়ার চার্টার্ড অ্যাকাউটেন্ট রীতেশ শাহকে।

আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন (PMLA) আওতায় এদিন এই চারজনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, রিয়া চক্রবর্তীর ইনকাম ট্যাক্স রিটার্নস, তাঁর বিভিন্ন বিনোয়োগ খতিয়ে দেখছে ইডি। জানা গিয়েছে ইডি কর্তাদের বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে রিয়া চক্রবর্তী। রিয়ার আয়, ব্যবসা সংক্রান্ত এবং পেশাদার জগতের লেনদেনের উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

শুক্রবার ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন রিয়া ও শৌভিক

সুশান্ত সিং রাজপুত প্রতিষ্ঠিত দুটি সংস্থার ডিরেক্টারের পদেও রয়েছেন রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী, এবং বাবা ইন্দ্রজিত্ চক্রবর্তী। সুশান্তের আরও দুটি কোম্পানিও রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। সেই চারটি কোম্পানি সম্পর্কেও তথ্য জানতে চায় ইডি।

রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে জানিয়েছেন, ‘রিয়াকে জেরা করা হয়েছে এবং তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে এবং উনি ইডির সঙ্গে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। উনি কোথাউ আত্মগোপন করে নেই। ওঁনাকে আবার ডাকা হয়েছে,উনি সঠিক সময়েই হাজির হবেন’।

মুম্বইয়ের খার এলাকাস্থিত রিয়ার একটি সম্পত্তিও নজরে রয়েছে ইডির।ইডি সূত্রে খবর, রিয়া জানিয়েছেন ৮৪ লক্ষ টাকার এই সম্পত্তি কিনতে ৬০ লক্ষ টাকার হোম লোন নিয়েছেন তিনি। বাকি ২৪ লক্ষ টাকা কোথা থেকে এল? সেই প্রশ্নের জবাবে রিয়া বলেন, সেটি তিনি জোগাড় করতে পেরেছিলেন এবং চেকের মাধ্যমে সেই টাকা দেওয়া হয়েছে।