গত বৃহস্পতিবার রাতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বিখ্যাত সংগীত পরিচালক শ্রবণ রাঠোরের। এইমুহূর্তে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন প্রয়াত সংগীত পরিচালকের স্ত্রী। প্রথমে শ্রবণের করোনা আক্রান্ত ও পরবর্তী সময় তাঁর মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমকে জানান শ্রবণ-পুত্র সঞ্জীব। সম্প্রতি, দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সঞ্জীব জানিয়েছেন মৃত্যুর কিছুদিন আগে অসংখ্যবার বারণ করা সত্ত্বেও শ্রবণ ও তাঁর স্ত্রী কুম্ভমেলা ভ্রমণে গেছিলেন। পুত্র সঞ্জীবের কথায়, ' গত বছর করোনা অতিমারীর পরেও বিভিন্ন তীর্থস্থানে যাওয়া থেকে বিরত হননি বাবা। বদ্রীনাথ,ওড়িশা,জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক তীর্থস্থান দর্শনে সস্ত্রীক গেছিলেন তিনি। কুম্ভমেলার ঘোষণার পরপরই সেখানে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। আমার হাজার বারণ কানেই তোলেননি বাবা!' শুধু তাই নয়,গত মাস ছয়েক ধরে নিজের শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে জানা সত্ত্বেও যে কোনও ডাক্তার দেখাননি শ্রবণ তাও জানালেন শ্রবণ-পুত্র। হাসপাতালে গিয়ে ‘চেক-আপ’ না করানো মনোভাবের পিছনে শ্রবণের যুক্তি ছিল যে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে যদি তিনি সাধারণ রুটিনমাফিক শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যও সেখানে যান, তাহলে করোনা আক্রান্ত হিসেবে তাঁকে হাসপাতালে জোর করে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হবে। শেষপর্যন্ত যদিও তীব্র শ্বাসকষ্ট হওয়ায় খানিকটা বাধ্য হয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রয়াত এই সংগীত পরিচালকের পুত্র আরও জানান যে বাবার সঙ্গে তাঁর বহুবার মনোমালিন্য হয়েছে করোনার সময়ে তীর্থস্থানে ভ্রমণ করার ব্যাপারে। অতিমারীর বিষয়ে একাধিকবার বোঝানো ও সাবধান করার পরেও নাকি শ্রবণের চিন্তার কোনও হেরফের হয়নি। মাস্ক পরা থেকে শুরু করে নিয়মিত ডাক্তার দেখানো,কোনও ব্যাপারেই নিয়ম পালন করতেন না তিনি। বললেও শুনতেন না। সঞ্জীবের কথায়,' কুম্ভ মেলায় যাওয়ার ব্যাপার বাবাকে যখন বারবার বারণ করছি, তখন আমাকে ধমক দিয়ে বলেছিলেন, তুমি না তো আমার বাবা কিংবা ডাক্তার সুতরাং চুপচাপ থাকো!' অগত্যা আর কথা বাড়াননি সঞ্জীব। প্রসঙ্গত, প্রখ্যাত বলি-গায়ক উদিত নারায়ণও এক সাক্ষাৎকারে জোর গলায় শ্রবণের করোনা আক্রান্ত হওয়ার পিছনে কুম্ভ মেলায় ভ্রমণকেই দায়ী করেছেন।