কথায় আছে শরীরের নাম মহাশয় , যা সহাবে তাই সয় । এখন শরীর নামের ঈশ্বর প্রদত্ত সজীব কলকব্জা যখন রয়েছে , তখন তার সমস্যাতো থাকবেই । আর সেই সমস্যা আবার কাউকেই বিশেষ বাছবিচার করেনা । তিনি আম আদমি হন বা সেলেব্রিটি তারকা । এমনই এক শারীরিক সমস্যার কথা এবার খোলসা করলেন বলি সুন্দরী সোনম কাপুর । জানালেন আজকাল আরও অনেকের মতোই তিনিও সেই ১৪ -১৫ বছর বয়স থেকে ভুগছেন পলিসিস্টিক ওভারির সমস্যায় (Polycystic Ovary Syndrome)। নিজের ইনস্টাতে ভিডিও আপলোড করে এই কথা জানিয়েছেন অনিল কন্যা ।
কিন্তু কি এই পলিসিস্টিক ওভারি বা সংক্ষেপে পিসিওএস (PCOS) বা পিসিওডি (PCOD) ? এটি এমন একটি রোগ যার ফলে ওভারিতে একাধিক ডিম্বানু জমে যায়। যাঁদের পলিসিস্টিক ওভারি রয়েছে তাঁরা সাধারণত সঠিকভাবে ডিম্বানুকে ফেলোপিয়ান টিউবে বিমুক্ত করতে পারেন না। তার ফলেই ওভারিতে একাধিক ডিম্বানু জমে যায়। ফিমেল সেক্স হরমোনগুলি ভারসাম্যহীনতার জন্যই এই সমস্যার সৃষ্টি হয় ।
নিজের ভিডিওতে সোনম কাপুর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এই রজার সাথে লড়াই করার তিনটি উপায়ের কথা বলেছেন সোনম ।
১) হাঁটতে হবে– আধুনিক জীবনে প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের শারীরিক পরিশ্রম অনেকটা কমে গিয়েছে। কিন্তু শরীরকে বেশি বিশ্রাম দেওয়া যাবে না। নিয়মিত হাঁটাচলা করতে হবে। সোনম রোজ ১০ হাজার পা মেপে হাঁটেন।
২) যোগাভ্যাস – শরীরের একাধিক সমস্যার উত্তর যোগাভ্যাসে রয়েছে। এর মাধ্যমে শরীরকে পলিসিস্টিক ওভারির মতো সমস্যার মোকাবিলার জন্য তৈরি করা যায়। তাই-ই করেন সোনম।
৩) চিনি ত্যাগ – পলিসিস্টিক ওভারির সিনড্রোমে আক্রান্ত মহিলাদের শরীরে বিষের মতো ক্ষতি করে চিনি। তাই খাবারের তালিকা থেকে অবিলম্বে চিনি বাদ দেওয়ার কথা বলেন সোনম। অনিল-কন্যা নিজে মিষ্টি খেতে ভালবাসেন। কিন্তু শরীরের খাতিরে তা বাদ দিয়েছেন বলেই জানান।