বাংলা নিউজ >
বায়োস্কোপ > শারীরিক সুখ নয়, মনই আসল! সরস্বতী পুজো হল শোভন-বৈশাখীর বাড়ি, হলুদ ছেড়ে পরলেন সবুজ
শারীরিক সুখ নয়, মনই আসল! সরস্বতী পুজো হল শোভন-বৈশাখীর বাড়ি, হলুদ ছেড়ে পরলেন সবুজ Updated: 17 Feb 2024, 05:26 PM IST Tulika Samadder ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা তুঙ্গে। আর তারই মাঝে সরস্বতী পুজোয় গোটা পরিবারের সবুজ সাজ উসকে দিল সেই জল্পনাই। 1/5 ১৪ তারিখ বুধবার ছিল সরস্বতী পুজো। খানিক দেরিতেই বাগদেবীর আরাধনার ছবি এল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামাজিক মাধ্যমে। সহবাস সঙ্গী শোভন ও মেয়ে মেহুলকে নিয়ে করেছিলেন বাড়ির পুজো। বেশ বড় করেই হয়েছিল আয়োজন। তবে হলুদে নয়, চর্চিত জুটি সাজলেন সবুজে। তৃণমূলে ফেরার ইঙ্গিত নেই তো এতে? 2/5 বৈশাখী ও মেহুল দুজনেই বেছে নেন সোনালি ভারি কাজের সবুজ সিল্কের শাড়ি। দুজনেই পরেছিলেন তা সামনে আঁচল দিয়ে। চুল বাঁধা খোঁপাতে। গলায় সোনার হার, কোমরে বিছে। আর মা-মেয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শোভনের সাদা রঙের পঞ্জাবির সামনে ছিল সবুজ-সোনালি ডিজাইন। 3/5 শোভন আর বৈশাখীর সম্পর্ক নিয়ে কটাক্ষের কোনও শেষ নেই। ভালোবাসার মানুষ দুটিকে নিয়ে নানা কুরুচিকর কথাও চলে ইন্টারনেটে। তবে প্রাক্তন অধ্যাপিকা জোর গলায় জানিয়েছেন তাঁদের সম্পর্কের ভিত শুধুই ভালোবাসা। এতে নেই অন্য কোনও স্বার্থ। বৈশাখীর কথায়, ‘আমি আর শোভনের কেউই নিজেদের যৌবনে নেই। এই বয়সে এই সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তার পিছনে প্রগাঢ় ভালোবাসা থাকতে হবে। ভালোবাসাটাই থাকতে হবে, কারণ শারীরক সম্পর্কের সুখ তা অনেক আগেই পিছনে ছেড়ে এসেছি।’ 4/5 এবারে সরস্বতী পুজো আর ভ্যালেন্টাইন্স ডে পড়েছিল একই দিনে। এক সংবাদমাধ্যমকে বৈশাখী জানান, ‘আমার কাছে ৩৬৫ দিনই ভালোবাসার দিন। আর যে দিনগুলোয় ঝগড়া হয় ওগুলো আরও বেশি করে ভালোবাসার দিন। তবে আমি কখনোই বলব না ভ্যালেন্টাইন্স ডে লোক দেখানো। একটা বিশেষ দিনে একটু ভালোবাসার আতিশয্য থাকলে মন্দ কি! এটার মধ্যেও তো আনন্দ আছে। সবকিছুর শেষে, ভালোবাসাটা দীর্ঘজীবী হোক এটাই তো চাওয়া।’ 5/5 শোভনের তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাও আবার লোকসভা ভোটের আগেই। তাতে সহমত আছে বৈশাখীরও। কদিন আগেই তিনি সঙ্গীর ঘাসফুলে ফেরা নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘আমার মনে হয় যে কোনও নির্বাচন বড় যুদ্ধ। এখন দেখছি বড় একটা জোট তৈরির চেষ্টা চলছে। বিপরীতে একটা বড় প্রতিষ্ঠিত দল, যে কয়েকবার ভোটে জিতেছে। এর মধ্যে রামমন্দির এসে গেছে। এরকম একটা পরিস্থিতিতে শোভন সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করলে আমি অন্তত খুব খুশি হব। আমি চাই এবারের ভোটে ও কিছু একটা দায়িত্ব পাক। তবে সেটা কখন, কোথায় হবে, তা তো ওর দলনেত্রী (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ঠিক করবেন।’