বিহার পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের বড় ঘোষণা। রাজ্যে আর বাজানো যাবে না কোনও রকমের ধর্ম বা জাতি নিয়ে সুড়সুড়ি দেওয়া গান। এই মর্মে রাজ্যের সমস্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র পুলিশ সুপার এবং পুলিশ সুপারদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টতই আদেশ করা হয়েছে, কোনও জাতি বা গোষ্ঠীকে অসম্মান করে যে গানগুলি সেগুলি আর বাজানো যাবে না বিহারে। অন্যদের অনুভূতিতে আঘাত করছে এমন গান বাজানো হলে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও হুকুম দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার সহ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের এই গোটা বিষয়ের উপর কড়া নজরদারি চালানোর হুকুম দিয়েছে বিহার পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ।
স্পেশাল ব্রাঞ্চের এসপির তরফে যে চিঠি সবার কাছে পাঠানো হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে 'যে গান কোনও বিশেষ গোষ্ঠী বা জাতিকে মহামান্বিত করে অন্য জাতিদের নিচু করে বা অবমাননা করে দেখাচ্ছে, একই সঙ্গে যে গানগুলি সমাজের জন্য ক্ষতিকর এবং উত্তেজক কথায় ভরপুর সেগুলো দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল ভাইরাল হয়ে যায়, বা ভাইরাল করানো হয়। এর থেকে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে পারে, নষ্ট হতে পারে ভাতৃত্ববোধ। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ভোজপুর এবং সিওয়ানকে এই ধরনের কাজের বিরুদ্ধে সতর্কতা বজায় রাখার কথা বলা হলেও সেটা করা হয়নি। ফলে দেখা যাচ্ছে এই ধরনের গান বাজানোর যে প্রবণতা সেটা কমার বদলে দিন দিন বাড়ছে।'
এদিকে সামনেই দোল, শিবরাত্রি আসছে। এই দুই উৎসবই বিহার বেশ ধুমধাম করেই পালিত হয়। তাই তখন যাতে এমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, কোনও নিম্নমানের গান বা অন্য ধর্ম বা জাতিকে অবমাননা করছে এমন গান চালানো না হয় সেটার দিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে।
বিহার পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের তরফে আরও জানানো হয় যে এই ধরনের গানের কারণে সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই আগামীতে এমন কোনও গান বাজানো যাতে না হয় সেই দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে সমস্ত উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা এবং জেলাশাসকদের। একই সঙ্গে এমন কোনও ঘটনা ঘটলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুকুম দেওয়া হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে আর এই ধরনের ঘটনা না ঘটে।