শ্রীলেখার জীবন বরাবরই খোলা খাতা। অনেকেই জানেন স্বামী শিলাদিত্য সান্যালের থেকে অনেকদিন আগেই আলাদা হয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে বরাবরই বলে আসছেন মেয়ের দায়িত্ব নেন একসঙ্গে। এখনও একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েই গিয়েছে তাঁদের মধ্যে।
অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠতে পারে তবে কি বিয়ের মরশুম আসলে মন খারাপ হয় শ্রীলেখার এখনও? জবাবে এক সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী জানালেন, ‘আমি আর এগুলো নিয়ে সেভাবে ভাবতে চাই না। একটা সময় অনেকটা ভেবে কাটিয়েছি। এখন মনে হয়, ওটা হয়নি বলে আমি অনেককিছু পেয়েছি, যেটা হয়তো পেতাম না। এই শক্তি, নিজের উপর আত্মবিশ্বাস.. এগুলো বেড়েছে।’ শ্রীলেখাই জানালেন একসময় শিলাদিত্যর উপর এতটাই নির্ভরশীল ছিলেন মেইল করতেও সাহায্য নিতে হত। কিন্তু এখন তিনি পালটে গিয়েছেন। তিনি আরও জানালেন, ‘আমার মেয়ের জন্মদিনে আমার দেওর এসেছিল এবারে। মজা করে বললাম, এক্স দেওর বলব কি না! ওরা এখনও আমাকে বৌদি বলে ডাকে। কাগজে-কলমে সই করলেই তো আর সব অস্বীকার করা যায় না!’
শ্রীলেখা জানালেন, আগে এই সময়টায় একটু কষ্ট হত। তবে এখন আর হয় না। দিনকয়েক আগেই তাঁর বাড়িতে যিনি দেখাশোনার কাজ করেন, সেই মাসির নাতির বিয়েতে গিয়ে নবদম্পতিকে পরামর্শ দিয়ে এসেছেন একে-অপরকে স্পেস দেওয়ার।
শ্রীলেখা নিজের মুখেই জানালেন, একদম ‘টিপিক্যাল বউ বউ টাইপস’ ছিলেন তিনি! কাজ করতেন, কাজের পর বাড়ি চলে আসতেন। স্বামীর বন্ধুরাই ছিল তাঁর বন্ধু। শিলাদিত্যকে কেন্দ্র করেই দুনিয়া ছিল তাঁর।
অভিনেত্রী আরও জানালেন, অনেকদিন পর্যন্ত শাখা-সিঁদুর পরেই থাকতেন। পরে শিলাদিত্য এসেই বলে, ‘খুলে ফেলো। কেমন গাঁইয়া গাঁইয়া লাগে’। অভিনেত্রীর কথায়, ‘শিলাদিত্য ছিল সাউথ ক্যালকাটার ছেলে। ওর আউটলুক ছিল অন্যরকম। আর আমি দমদম ক্যান্টনমেন্টের মেয়ে। একটা মেয়ে যে ভৌগলিক অবস্থানে বেড়ে ওঠে সেরকমই তো হয়’।