ভারতে তো বটেই, বিদেশেও প্রশংসিত এস এস রাজামৌলীর 'আরআরআর'। বিশেষত আমেরিকায় এই ছবিকে ঘিরে উন্মাদনা ছিল দেখার মতো। দর্শক থেকে সমালোচক— সব মহলেই ছাপ ফেলে রাম-ভীমের আখ্যান। কিন্তু যাঁর কাজকে কেন্দ্র এত চর্চা, তিনি কী বলছেন? কতটা খুশি পরিচালক?
রাজামৌলীর কথায়, 'আমি কখনও ভাবিনি পশ্চিমি দর্শকের 'আরআরআর' এতটা ভালো লাগবে। সে রকম কোনও প্রত্যাশাও ছিল না। সেখানে 'আরআরআর' মুক্তি পাওয়ার পর অনেকে তাঁদের মতামত আমাকে জানাচ্ছিলেন। ভেবেছিলাম, কিছু মানুষ হয়তো ছবিটি দেখেছেন। তার পর বুঝলাম হাজার হাজার দর্শক এই ছবি দেখেছেন। নানা জায়গায় 'আরআরআর'-এর প্রশংসা হচ্ছিল।'
বিদেশে ২০০ কোটির ব্যবসা করেছে 'আরআরআর'। সেই আয়ের সিংহভাগই এসেছে আমেরিকা থেকে। হলিউডের ড্যানি ডেভিটো, এডগার রাইট, রুশো ব্রাদার্স, জেমস গান, স্কট ডেরিকসনের মতো তারকারাও রাজামৌলীর ছবির প্রশংসা করেছেন।
অতীতে রাজামৌলীর 'বাহুবলী' নিয়েও পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে উন্মাদনা দেখা গিয়েছে। জাপানে দেখার মতো ব্যবসা করেছিল এই ছবি। এ প্রসঙ্গে রাজামৌলী বলেন, 'আমি ভাবতাম, আমার গল্পগুলি রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু ভারতের বাইরেও যে এত সাড়া ফেলবে, তা ভাবিনি।'
(আরও পড়ুন: এন্ট্রিতেই বাজিমাত, বাকিদের টেক্কা দিল RRR)
'বাহুবলী'র পর 'আরআরআর'-এর মাধ্যমে আরও একবার সারা বিশ্বের প্রশংসা পেলেন রাজামৌলী। চলতি বছরের মার্চ মাসে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। পরাধীনতার ইতিহাস, পুরাণ এবং দক্ষিণের অস্মিতাকে মিলিয়ে দিয়ে গল্প বুনেছিলেন রাজামৌলী। সেই গল্পের কেন্দ্রে দুই বন্ধু, রাম এবং ভীম। রামের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল দক্ষিণী অভিনেতা রাম চরণ তেজাকে। ভীম হয়েছিলেন জুনিয়র এনটিআর। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গিয়েছে আলিয়া ভাট, অজয় দেবগণ এবং শ্রিয়া সরণ।