সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না সুদীপ্তা চট্টোপাধ্যায়ের। মাঝে অসুস্থ ছিলেন স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়। হারিয়েছেন প্রিয় পোষ্যকেও। আর এবারে মাকে নিয়ে করলেন একটা পোস্ট। যাতে প্রিয় এই মানুষটার স্বাস্থ্য নিয়ে ধরা পড়ল উদ্বেগ।
প্রতিটা সন্তানের কাছে তাঁর মায়ের জায়গা আর কেউ নিতে পারে না। আর একটা সময়ের পর প্রতিটা মেয়েরে সবচেয়ে কাছের মানুষ হন তাঁর মা। সেই মানুষটা যে প্রতিটা কাজে এগিয়ে আসে নিজে থেকে। মনের দুঃখ না বললেই বুঝে নিতে পারে।
মায়ের জন্মদিনে অনেকটা একই কথা শোনা গেল সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের মুখে। মাতৃদেবীর সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে নিলেন। ক্যাপশনে লিখলেন, ‘বার্থ ডে লেডির সঙ্গে। আমি সত্যিই জানি না আর কটা জন্মদিন আমরা একসঙ্গে পালন করতে পারব। কিন্তু আমি তোমাকে একটা কথা বলি, মা-ই হলেন একমাত্র যে তোমাকে কোনও পরিস্থিতিতেই বিচার করে না।’
আরও পড়ুন: ‘বড় করে দেখি না…!’ বাংলাদেশের ‘ভারত-বিদ্বেষ’, মুখ খুললেন অভিনেতা মোশারফ করিম
কদিন আগেই হার্টে বাইপাস সার্জারি হয় সুদীপার বর অগ্নিদেবের। বালিগঞ্জের বাড়িতে ঘটা করে হয়েছিল দুর্গাপুজো। আর তারপরেই হাসপাতালে অপারেশনের জন্য ভর্তি করতে হয় অগ্নিদেবকে। অন্য দিকে, সুদীপা-অগ্নিদেবের প্রিয় পোষ্য বাঁটুলের মৃত্যুু হয় অষ্টমীর দিন রাতে। সেই খবর শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা লিখেছিলেন, ‘আমরা তোমায় ভুলব না… আমরা তোমার সঙ্গে আবার দেখা করব রামধনুর পথে। স্বর্গের কাছাকাছি কোথাও। মা ও বাবা তোমায় খুব ভালোবাসে। পারলে ফিরে এসো। তোমায় খুব মিস করব বাঁটুল।’
উত্তর কলকাতার যৌথ পরিবারের মেয়ে সুদীপা। স্বামী অগ্নিদেবের সঙ্গে আলাপ হয় কাজের সূত্রেই। ঘরোয়াভাবেই ২০১০ সালে অগ্নিদেবের বালিগঞ্জের বাড়িতে দুজনে করে নেন বিয়েটা। যদিও ২০১৭ সালে রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন সুদীপা। তাঁর আর অগ্নিদেবের সন্তানের নাম আদিদেব।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মেলায় পকেটমারির শিকার জিতু, ‘ফাঁকা পকেটে’ ফিরতে হয় দেশে
সুদীপার আগেও বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন অগ্নিদেব। সেই বিয়ে থেকেও একটি ছেলে হয়েছিল তাঁর, নাম আকাশ। দুজনের ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর থেকেই মায়ের সঙ্গেই থাকেন আকাশ। যদিও সুদীপার সংসারেও খুব ভালোবাসা পান আকাশ। সৎ ছেলেকে আপন করে নিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই তরুণকে নিয়ে করেন পোস্ট।
রান্নাঘর শেষ হওয়ার পর, আপাতত ব্যবসাতেই মন দিয়েছেন সুদীপা। রেস্তোরাঁ তো ছিলই। এখন শুরু করেছেন শাড়ি-গয়নার ব্যবসা।