সুপ্রিম কোর্টের শুনানির কারণে আপাতত রিয়া চক্রবর্তী,তাঁর বয়ান রেকর্ডের দিন স্থগিতের জন্য অনুরোধ করেছেন। বললেন অভিযুক্তের আইনজীবী।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তের সঙ্গে আর্থিক তছরূপের কোনও বিষয় জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের করে তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবারই এই মামলায় মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীকে সমন পাঠিয়েছিল ইডি। সেই অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ১১টায় ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল রিয়ার। তবে সেই হাজিরার কয়েকঘন্টা আগেই নিজের আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধের মারফত রিয়া চক্রবর্তী কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে আবেদন করেন তাঁকে সময় দেওয়া হোক ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার। সূত্রের সেই আবেদন সরাসরি নাকচ করে দিল ইডি,জানাল হাজিরা দিতেই হবে ইডির দফতরে।
এদিন রিয়া তাঁর আবেদনে বলেন, বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর দায়ের করা পিটিশনের শুনানি চলছে, সেই শুনানির রায় আসা না পর্যন্ত ইডিতে হাজিরা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হোক। রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের শুনানির কারণে তিনি আপাতত তাঁর বয়ান রেকর্ডের দিন স্থগিতের জন্য অনুরোধ করেছেন।
সুশান্ত সিং রাজপুতের গার্লফ্রেন্ড রিয়ার বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ এনেছে সুশান্তের পরিবার। সুশান্ত সিং রাজপুত প্রতিষ্ঠিত দুটি সংস্থার ডিরেক্টারের পদেও রয়েছেন রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী। এই সংস্থাগুলির আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখছে ইডি।
গত ৩১ জুলাই এনফোর্টমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট বা ইসিআইআর রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবার এবং ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। সুশান্তের পরিবারের তরফে দায়ের করা এফআইআর রিপোর্টের ভিত্তিতেই দায়ের হয়েছে এই ইসিআইআর রিপোর্ট।
২৭শে জুলাই রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিহার পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের খবর প্রকাশ্যে আসবার পর থেকেই ‘গায়েব রিয়া’। আজ ইডির দফতরে হাজিরা না দেওয়ার জন্যও ফের সময় চান তিনি। গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টে রিয়ার আইনজীবী তাঁর মক্কেলকে সুরক্ষাকবচ দেওয়ার আবেদন জানালে সেটিও খারিজ হয়ে যায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে।
ইডির জেরায় বেশকিছু কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে সুশান্ত সিং রাজপুতের গার্লফ্রেন্ডকে। টাইমস নাওয়ের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে ২০১৮-২০১৯ অর্থবর্ষে রিয়া চক্রবর্তীর আয় ছিল মাত্র ১৪ কোটি টাকা। তেমনই বলছে তাঁর ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন (ITR) ফাইল। সেই রেকর্ড ঘেঁটে দেখা গেছে গত কয়েক বছরে রিয়ার আয় ১০ লক্ষ থেকে বেড়ে ১২ লক্ষ এবং তারপর ১৪ লক্ষ টাকা হয়েছে।
এত কম টাকা আয় করা সত্ত্বেও সম্প্রতি নাকি রিয়া মুম্বইয়ে দুটি কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি কেনেন। একটি সম্পত্তি রিয়ার নিজের নামে, অন্যটি রিয়ার পরিবারের এক সদস্যের নামে। সেই টাকা কোথা থেকে এল? জানতে চাইবে ইডি।