আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়া স্বরা ভাস্করের জন্য একটি রিসেপশন পার্টির আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছেন। যিনি এএমইউ-রই প্রাক্তন ছাত্র ফাহাদ আহমেদ, একজন সমাজবাদী পার্টির নেতাকে বিয়ে করেছেন। শরিয়া আইনের অধীনে ইতিমধ্যেই স্বরা ভাস্করের বিয়ের 'বৈধতা' নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর তারই মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আয়োজিত হতে চলা অনুষ্ঠানটি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কারণ, পড়ুয়াদের একটা অংশ আবার বলছে যে তাঁরা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে এই ধরনের কোনও উৎসব অনুমোদন করবেন না।
তাঁরা আরও বলেছেন, প্রশাসনের অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা উচিত এবং এই জাতীয় যে কোনও কর্মসূচি বাতিল করা উচিত। ‘শাহীন বাগ’ এবং ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’-য়ের লোকেরা যদি ক্যাম্পাসের ভিতরে আসে, তাহলে ভারত বিরোধী স্লোগান উঠতে পারে। জানিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন সহ-সভাপতি নাদিম আনসারি।
‘ফাহাদ একজন পুরনো ছাত্র। আমরা এখনও তারিখ নিয়ে আলোচনা করছি। আজও আমরা আলোচনা করেছি। ফাহাদ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পর আমরা দাওয়াত দেব। সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানাব, মিডিয়াকেও স্বাগত জানানো হবে’, জানালেন স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ফজল হাসান। প্রায় ৫০-১০০ জনকে এই উদযাপনে আমন্ত্রণ জানানো হবে যা হয় ওল্ড বয়েজ লজে বা ক্যাম্পাসের ভিতরে গেস্ট হাউসে অনুষ্ঠিত হবে, জানালেন ফজল হাসান।
‘মানুষের ভিন্ন মতামত আছে। স্বরা এবং ফাহাদ বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে বিয়ে করেছেন। তারা একে অপরকে ভালোবাসেন, এটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। বন্ধু হিসেবে আমরা অন্তত একটি দাওয়াত দিতে পারি এবং উদযাপন করতে পারি। এটা আমার ক্যাম্পাস নয়, এবং এটি অন্য কোনও ব্যক্তির নিজস্বও নয়। এই ক্যাম্পাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত’, বললেন ফজল।
'যে কেউ কাউকে ভালোবাসতে পারে, তবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে একটি উদযাপনের কোনও অর্থ হয় না', নাদিম আনসারি প্রতিবাদ করে বলেছেন। ‘এএমইউ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এই ধরনের রিসেপশনের অনুষ্ঠান একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সঙ্গে মোটেও মানানসই নয়। যদি এমন কোনও ঘটনা ঘটে, আমরা প্রতিবাদ করব,’ আনসারি বলেন।
‘এটা ভালো যে ওরা কোর্টে বিয়ে করেছে। এই বিয়েটাও শরীয়তের অধীনে বৈধ নয়। তাহলে ওয়ালিমা কী? আলিগড়ে অনেক রেস্তোরাঁ আছে। সেখানে গিয়ে দাওয়াত দাও। যদি শাহীনবাগ আর টুকড়ে টুকড়ে মানুষ এখানে আসে, ভারত বিরোধী স্লোগানও উঠতে পারে। এবং যদি তা ঘটে তবে প্রশাসন দায়ী থাকবে’, আনসারি যোগ করেন নিজের বক্তব্যে।
ফাহাদের সঙ্গে স্বরা ভাস্করের বাগদান ও রেজিস্ট্রি ম্যারেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের সূত্রপাত করে এবং সর্বভারতীয় মুসলিম জামায়াতের সভাপতি মাওলানা শাহাবুদ্দিন রাজভি বেরেলভির জানিয়েছেন স্বরা ভাস্কর প্রথমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ না করে ফাহাদকে বিয়ে করতে পারবেন না।