পরনে লাল পাড়ের সাদা শাড়ি, সঙ্গে লাল ব্লাউজ। সিঁথিতে সিঁদুর, কপালে সিঁদুরের টিপ। মাথায় রূপোর টায়রা, কানে পাশা। লক্ষ্মীবারে এভাবেই বাঙালি বধূ বেশে দেখা দিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তাঁর হাতের মাঝে আলতা দিয়ে আঁকা লাল টিপ, আর পায়ে নিজের হাতে তুলি দিয়ে আলতা পরতে দেখা গেল স্বস্তিকাকে। সেই সেঙ্গে পায়ে শোভা পাচ্ছে রূপোর মোটা নূপুর।
বৃহস্পতিবার এমনই কিছু টুকরো ছবি ফেসবুকের পাতায় পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। কোনও ছবিতে আবার বরের টোপর মাথা দিয়েও দেখা গিয়েছে স্বস্তিকাকে। ছবিগুলি ‘বিজয়ার পরে’ ছবির শ্যুটিংয়ের। যে ছবি মুক্তি পেয়েছে গত ১২ জানুয়ারি। ছবিগুলি পোস্ট করে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘শট এর অপেক্ষা করতে করতে সেট এ তোলা ছবি, আমার মা খুব আলতা পরতে ভালবাসত। কাজের জন্য আমিও চান্স পেলেই পরি। মা এর পা দুটো কি সুন্দর লাগত - ভাবি আমার পা টাও যদি কোনদিন ওমন সুন্দর লাগে…’।
আরও পড়ুন-'কজনের নাম নিই বলুন তো, অনেক!' রুম্পার সামনেই ফাঁস অর্ণবের স্কুলের একাধিক প্রেম…
স্বস্তিকার এই পোস্টে মুগ্ধ নেটনাগরিকরা। অভিনেত্রীর এই রূপে মুগ্ধ এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘অপূর্ব সুন্দর লাগছে। যেন দেবী।’ আরও একজন লিখেছেন, ‘তুমি এত কেনো সুন্দর, বার বার তোমার ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই’। কারোর কথায়, ‘আপূর্বা মোহময়ী’। কারোর মন্তব্য, ‘আমার দূর্গা’। কেউ বলেছেন, 'দেবী'।
ব্যক্তিগত জীবনে বাবা-মায়ের ভীষণই কাছের ছিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। যদিও বর্তমানে মা ও বাবা দুজনকেই হারিয়েছেন স্বস্তিকা। ২০১৭-র জানুয়ারিতে মা গোপা মুখোপাধ্যায়কে হারান স্বস্তিকা। মাত্র ৬২ বছর বয়সেই মৃত্যু হয় অভিনেত্রীর মায়ের। এরপর স্বস্তিকার সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়। ২০২০-র মার্চে স্বস্তিকার অভিনেতা বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়। বর্তমানে স্বস্তিকা জীবনে একান্ত কাজের বলতে রয়েছেন তাঁর নিজের দিদি অজপা মুখোপাধ্যায় আর মেয়ে অন্বেষা।
স্বস্তিকার বহু পোস্টেই বারবার উঠে আসে তাঁর বাবা-মায়ের কথা। গত ২৮ জানুয়ারি মায়ের জন্মবার্ষিকীতে লম্বা একটা পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী। আবেগতাড়িত হয়ে লিখেছিলেন, ‘মা গো মা - শুভ জন্মদিন। অনেক … খেও, খুব হেসো, নতুন একটা শাড়ি পোরো। তোমার হাসির আওয়াজ সেই গলির মুখ থেকে শোনা যেত, ওমন করে আজকাল কেউ হাসেনা, সবার ওপর কেউ যেন একটা মাপকাঠি চাপিয়ে দিয়েছে, তুমি তো কোনদিন কিছুই মেপে করনি, তেমন টা শেখাও ওনি আমাদের। আলো হয়ে থেকো মা গো আমার। আবার যেন দেখা হয় তোমার সঙ্গে।অনেক ফুল পাঠালাম, গন্ধে ভরে থেকো।’