মাস কয়েক আগেও গোটা দেশের মানুষ সিকিভাগ তাঁর নাম জানতেন না। কিন্তু ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র সুবাদে জলপাইগুড়ির ছেলে সুদীপ্ত সেন এখন পৌঁছে গিয়েছেন দেশের ঘরে ঘরে। বছরের দ্বিতীয় সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে বুঁদ বহু দর্শক। ছবির সাফল্য চুটিয়ে এনজয় করছেন সুদীপ্ত সেন। এর মাঝেই এল ধামাকা খবর! ‘সাভারকর’ প্রযোজক সন্দীপ সিং-এর সঙ্গে হাত মেলালেন কেরালা স্টোরি পরিচালক।
দিন কয়েক আগেই সামনে এসেছে রণদীপ হুডা পরিচালিত ও অভিনীত ‘সাভারকর’-এর টিজার। বলা বাহুল্য ঝলক মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে এই ছবি ঘিরে। বীর সাভারকরের জীবনীচিত্রে উল্লেখ করা হয়েছে তিনি নাকি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম বসু, ভগৎ সিং-এর মতো দেশপ্রেমীদের অনুপ্রেরণা ছিলেন। যার জেরে ক্ষুব্ধ অধিকাংশ বাঙালি। এই তর্ক-বিতর্কের মাঝেই সামনে এল বড় আপটেড। এবার নাকি বাঙালি পরিচালকের ছবিতে বিনিয়োগ করবেন সন্দীপ।
বলিউডের অন্দরের অতি পরিচিত নাম সন্দীপ। দীর্ঘসময় বনশালির প্রযোজনা সংস্থায় কর্মরত ছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের বন্ধু। পরবর্তীতে ‘মেরি কম’, ‘সর্বজিৎ’, ‘পিএম মোদী’-র মতো জীবনীচিত্র প্রযোজনা করেছেন তিনি। সুশান্তের মৃত্যুর পর লাইমলাইটে উঠে আসা সন্দীপের ফিল্মি কেরিয়ারের অন্যতম বড় মাইলস্টোন হতে চলেছে ‘সাভারকর’ এবং ‘মেয় অটল হুঁ’। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর বায়োপিকও প্রযোজনা করছেন সন্দীপ, যেখানে নামভূমিকায় রয়েছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী।
বাস্তবধর্মী গল্প নিয়ে কাজ করতে ওস্তাদ সন্দীপ,অন্যদিকে বিতর্কিত ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ পরিচালনা করে এখন চর্চায় সুদীপ্ত সেন। দু'জনের যুগলবন্দি দর্শকদের জন্য কোনও ধামাকা নিয়ে আসবে তা বলাই বাহুল্য, তবে সেই আসন্ন প্রোজেক্ট সম্পর্কে এখন টুঁ শব্দটি করতে না-রাজ দুজনেই।
ধর্মান্তকরণের প্রেক্ষাপটে তৈরি ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ইতিমধ্যেই বক্স অফিসে ২৩৮.৪৭ কোটি টাকা আয় করে নিয়েছে। মাত্র ৩৫ দিনেই ২৪০ কোটির দোরগোড়ায় এই ছবি। খুব শীঘ্রই ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও মুক্তি পেতে চলেছে আদা শর্মা অভিনীত এই ছবি। সূত্রের খবর, জুন মাসের শেষের দিকেই ওটিটি-তে আসতে চলেছে এই ছবি। জানা যাচ্ছে, জি ফাইফ সিনেমাটির সত্ত্ব কিনে নিয়েছে।
গত ৫ই মে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। তবে মাত্র তিন দিন পরই পশ্চিমবঙ্গে এই ছবি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ছবি রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল মমতা সরকার। যদিও সুপ্রিম কোর্টে ধোপে টেকেনি সেই যুক্তি, পরে সুপ্রিম রায়ে নিষেধাজ্ঞা উঠলেও একমাত্র বনগাঁ-র একটি সিনেমাহল ছাড়া রাজ্যের অন্য কোথাউ প্রদর্শিত হয়নি এই ছবি।