পাঠান মুক্তির মাত্র ৭ দিনেই ব্যবসা করে ফেলেছিল ৩০০ কোটির। আর সেখানে ১৮ নম্বর দিনে এসেও ৩০০ কোটির থেকে বহুদূরে সলমন খানের টাইগার ৩। এদিকে যশরাজের স্পাই ইউনিভার্সের সবচেয়ে প্রভাবশালী গুপ্তচর তিনিই। টাইগার ফ্রাঞ্চায়েজির তৃতীয় সিনেমাটি যে এভাবে ডুববে বক্স অফিসে তা কল্পনাও করা যায়নি। বিশেষ করে চলতি বছরে যখন ৩টে ছবি ভারতের আয় দিয়েই পেরিয়ে গিয়েছে ৫০০ কোটির ঘর। সবচেয়ে আগে আছে জওয়ান, তারপর গদর ২, আর তারপর পাঠান।
কিন্তু সলমন খানের ভক্তদের আর পূরণ হল না প্রত্যাশা। শাহরুখের থেকে সেই পিছিয়েই পড়লেন ভাইজান। তৃতীয় শুক্রবার, ১৮তম দিনে ছবির আয় হল মাত্র ২ কোটি।
আরও পড়ুন: ‘কখনও ভাবিনি ৭ ডিসেম্বরের জন্য এভাবে অপেক্ষা করব’, হবু বরের বক্ষলগ্না সন্দীপ্তা
টাইগার ৩ বক্স অফিস কালেকশন:
sacnilk.com-এর রিপোর্ট অনুসারে টাইগার ৩ প্রথম সপ্তাহে আয় করে ১৮৭.৬৫ কোটি। এরপর দ্বিতীয় সপ্তাহের আয় কমে হয় ৬৭.২২ কোটি। তৃতীয় সপ্তাহে আনুমানিক ২২ কোটি ঘরে তুলেছে ছবি। আর তিন সপ্তাহের হিসেব মিলিয়ে ছবির মোট আয় এখন ২৭৮.০৫ কোটি। অর্থাৎ ৩০০ কোটির থেকে ২২ কোটি কম আছে। শনি আর রবিতে ব্যবসা ভালো হলে তবেই হয়তো তা সম্ভব হবে।
এদিকে খবর বলছে, টাইগার ৩-এর এই ভরাডুবি নাকি কপালে ভাঁজ ফেলেছে যশরাজ ফিল্মসের আদিত্য চোপড়ার মাথায়। এভাবে পোড় খাওয়া গুপ্তচর টাইগারের প্রতি দর্শকদের বিমুখ হওয়ায় তিনি বেশ চিন্তায়। 'বলিউড হাঙ্গামা'-এর রিপোর্ট অনুসারে, পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে টাইগার ভার্সেস পাঠান সিনেমাটা। আরও একবার স্ক্রিপ্ট খতিয়ে দেখতে চান আদিত্য আসলে।
আরও পড়ুন: খুদে এখন টলিউডের নায়িকা, জনপ্রিয়তা তুঙ্গে, ছেলের পর মেয়ের মা হলেন! বলুন তো কে?
পাঠান পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দের উপর দেওয়া হয়েছিল টাইগার ভার্সেস পাঠান পরিচালনার দায়িত্ব। আপাতত তিনি ব্যস্ত 'ফাইটার'-এর পোস্ট প্রোডাকশনে। সে কাজ মিটলেই নাকি দুজনে বসে পড়বেন খাতাকলম নিয়ে, নতুন করে স্ক্রিপ্ট সাজাতে। সিনেমার শ্যুট শুরু হতে পারে ২০২৫ সালে, আর মুক্তি পেতে পারে তা ২০২৬-এ।
টাইগার ৩-এর জন্য বেশ লম্বা অপেক্ষা করেছিলেন সলমন খানের ভক্তরা। ছয় বছর পর টাইগার হয়ে ফিরেছিলেন সলমন, জোয়া ক্যাটরিনাকে সঙ্গে নিয়ে। এই ছবির অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন ভিলেন চরিত্রে ইমরান হাসমি। মুক্তি পায় হিন্দি, তামিল আর তেলেগু ভাষায়। পরিচালনা করেছেন মণীশ শর্মা।