তাঁদের জুটিকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। বাংলা টেলিভিশনের এই হার্টথ্রব জুটির দাম্পত্য জীবন গত কয়েক মাস ধরেই রয়েছে চর্চায়। গত মাসেই দাম্পত্যের দু-বছর পূর্ণ করেছেন ‘তৃনীল’ জুটি। তবে তার কিছুদিন আগে থেকেই টেলিপাড়ায় গুজব রটেছিল নীল-তৃণার সুখী গৃহকোণে নাকি চিড় ধরেছে। যদিও সেই জল্পনায় জল ঢেলে দুজনেই জানিয়েছেন, ‘অল ইজ ওয়েল’।
এই তো কদিন আগে বসন্তের রঙ গায়ে মেখে ভালোবাসার জোয়ারে ভেসেছেন নীল-তৃণা। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুজনের রোম্যান্টিক রিল ভিডিয়ো হামেশাই চোখ টানে। মাঝে দু-মাস তার দর্শন না মিললেও ফের সবকিছুর দেখা মিলছে আগের মতোই। আপাতত স্টার জলসার ‘বালিঝড়’ ধারাবাহিকে দেখা মিলছে তৃণার। অন্যদিকে একই চ্যানেলের ‘বাংলা মিডিয়াম’-এ লিড রোলে রয়েছেন নীল। এর আগে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যানেলে দেখা মিলত তাঁদের। চ্যানেল এক হলেও টিআরপির লড়াইয়ে আজও পরস্পরের মুখোমুখি তাঁরা।
‘নিম ফুলের মধু’র সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছে না ‘বাংলা মিডিয়াম’, ওদিকে দু-বছর পুরোনো মেগা মিঠাই-এর সামনে হেরে ভূত ‘বালিঝড়’। টিআরপির রিপোর্ট কার্ড দুই মেগারই খুব খারাপ। ওদিকে তৃণার দাবি, টিআরপি নিয়ে একদমই মাথা ঘামান না তিনি। বরং নীলই নম্বর নিয়ে বেশি চিন্তায় থাকে। খাবার টেবিলে কী টিআরপি নিয়ে আলোচনা চলে? হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে তৃণা জানিয়েছিলেন, ‘আলোচনা হয় না এটা বলব না। তবে টিআরপি নিয়ে আমার জন্য় ওতোটাও ম্যাটার করে না, যতটা নীলের জন্য়। আমারা দুটো জিনিসকে ভীষণ আলাদাভাবে দেখি। আমাদের মধ্যে কোনও প্রতিযোগিতা নেই, আমরা পরস্পরকে সবসময় অনুপ্রাণিত করি। পরস্পরের কাজের সমালোচনাও করি। কিন্তু কখনও বলি না, তোরটা কম দেখ, আমারটা বেশি। এটা হয় না।’
শ্যুটিং সামলে নীলের সিরিয়াল দেখবার সময় পান তৃণা? অভিনেত্রীর কথায়, ‘সত্যি বলতে একদমই পাই না। তবে কখনও ইনস্টাগ্রামে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও ক্লিপিংস এলে তখন দেখি। কিন্তু সেভাবে সময় পাই না। ও আমার সিরিয়াল দেখবার সুযোগ হয় না।’
আপাতত ছোটপর্দার পাশাপাশি ওটিটি প্ল্য়াটফর্মেও চুটিয়ে কাজ করছেন তৃণা। ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পেয়েছে তৃণা অভিনীত ‘গভীর জলের মাছ’। সবদিক ভালোভাবেই ব্যালেন্স করছেন অভিনেত্রী।