করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় রাজধানীর এক উবর চালকের মানবিকতার গল্প দেশবাসীকে শুনিয়েছিলেন সাংবাদিক ঋতুপর্ণা চট্টোপাধ্যায়। এবার সেই ক্যাব-ড্রাইভারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন সংগীতশিল্পী বিশাল দাদলানি। ওই ব্যক্তির ছেলের ৩ বছরের কলেজের ফি হিসেবে দিলেন ৩ লাখ টাকা।
২০২১ সালের মে মাসে উদিত নামে ওই ক্যাব ড্রাইভারের কথা নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন ঋতুপর্ণা। তাঁর মা করোনা আক্রান্ত থাকা অবস্থায় একদিন অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮০-তে নেমে আসে। সেই সময় বৃদ্ধ মা-কে হাসপাতালে নিয়ে যেতে কোনও অ্যাম্বুলেন্স পাচ্ছিলেন না ঋতুপর্ণা। তখন তিনি ঠিক করেন, উবর বুক করবেন। ৩ জন উবর চালক সব শুনে বুকিং ক্যানসেল করে দেন। কিন্তু উদিত রাজি হন মুহূর্তে। শুধু তাই নয় ওই করোনা আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা, তাঁর জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার বয়ে আনা থেকে শুরু করে গভীর রাতে ঋতুপর্ণা-কে বাড়িও পৌঁছে দেন তিনি। আর এই কাজের জন্য একটা টাকাও নিতে রাজি হননি। জানিয়েছিলেন মানবিকতা থেকে একাজ করেছেন। ভ্যাকসিন নেওয়া আছে, তাই তিনি ভয় পান না। এমনকী পরবর্তীতে মেসেজ করে ঋতুপর্ণার মায়ের খোঁজও নিয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি, ওই সাংবাদিক আরও একটি টুইট করেছেন। যেখানে জানিয়েছেন বিশাল দাদলানির সাহায্যের কথা। তিনি তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘উদিতজি-কে মনে আছে? এইমাত্র তিনি ফোন করেছিলেন। কান্নাভেজা গলায় জানালেন, বিশাল দাদলানি তাঁর ছেলের কলেজের ৩ বছরের পুরো টাকা অর্থাৎ ৩ লাখ টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন। ছেলেকে কীভাবে কলেজে পড়াবেন তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তিনি। ধন্যবাদ বিশাল। ভালো লোকের সঙ্গে সব সময় ভালো হয়।’
ঋতুপর্ণার এই টুইট মন ছুঁয়ে গিয়েছে সকলের। প্রত্যেকেই যেমন ক্যাব-ড্রাইভার উদিতের প্রশংসা করেছেন। তেমনই গুণগাণ করেছেন বিশাল দাদলানির এইভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া নিয়েও। এমনকী, ঋতুপর্ণা যেভাবে সমস্ত অপডেট নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে সকলকে জানিয়েছেন, তাও প্রশংসাযোগ্য বলে মনে করেছেন নেট-নাগরিকরা।