কথা ছিল, এই যন্ত্রটি নাকি স্নায়ুর সমস্যা অনেকখানি কমিয়ে দেবে। মস্তিষ্কে বা মেরুদণ্ডে চোটের কারণে যাঁদের কোনও অঙ্গ বিকল হয়েছে, এই যন্ত্র তাঁদের আবার আগের মতো স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেব। গত বছরেই এই যন্ত্র মানুষের উপর প্রয়োগের কথা ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে এই বছর করে দেওয়া হয়েছে। তার আগেই প্রকাশ হল ভয়ঙ্কর খবর। ইলন মাস্কের Neuralink-এর কারণে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৫টি বাঁদর।
২০১৬ সালে Neuralink Brain Chip তৈরির কথা বলা হয় ইলন মাস্কের সংস্থার তরফে। বলা হয়, এটি বহু মানুষের অনেক সমস্যা কমিয়ে দেবে। সেই হিসাবে শুরু হয় এর পরীক্ষানিরীক্ষা। মানুষের শরীরে প্রয়োগের আগে বাঁদরের উপর এটি প্রয়োগ করা হয়। ২৩টি বাঁদরের খুলির ভিতর এই যন্ত্র বসানো হয়। ২৩টির মধ্যে অন্তত ১৫টি বাঁদরের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
খুলির ভিতর ড্রিল করে এই যন্ত্রটি বসানো হয়। খবর পাওয়া গিয়েছে, যে ২৩টি বাঁদরের মাথায় এই যন্ত্র বসানো হয়েছিল, তাদের কারও মৃত্যু হয়েছে ত্বকের মারাত্মক সংক্রমণে, কারণ মৃত্যু হয়েছে হাত-পায়ের আঙুল খসে গিয়ে, কারও মৃত্যু হয়েছে ব্যাপক যন্ত্রণায়।
তার পরেই নড়েচড়ে বসেছে পশুপ্রেমী সংস্থারা। অনেকের দাবি, যেভাবে এই বাঁদরগুলির মৃত্যু হয়েছে, তা অত্যন্ত নির্মম।
চলতি বছর এই যন্ত্র মানুষের শরীরে বসানোর কথা। কিন্তু তার ভবিষ্যৎ কী হবে, এখনও জানা যায়নি। অনেকের ধারণা, বাঁদরদের এইভাবে মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়ে যাওয়ায় পিছিয়ে যাবে Neuralink Brain Chip-এর কাজ।