কুমিরের সঙ্গেই কাটতো সারাদিন। তাদের নামে কাজকর্মের জন্যই বহাল ছিলেন তিনি। সেই কুমিরই কেড়ে নিল জীবন। একটু অসাবধান হতেই প্রাণ চলে হল ৪০টি কুমিরের কুমিরের ভিড়ে। সম্প্রতি কম্বোডিয়াতে এক ৭২ বছর বয়সী বৃদ্ধের এমনটাই পরিণতি হয়েছে। কুমিরের ফার্ম চালাতেন ওই বৃদ্ধ। ছিল এক ঝাঁক কুমিরও। কিন্তু তারাই যে সুযোগ পেলেই কেড়ে নেবে জীবন সে কথা আর কে জানত। আর পাঁচটা দিনের মতোই একটি কুমিরকে জলের মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরাতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন: হারানো নার্ভ কোশ গড়ে দেবে নয়া আবিষ্কৃত যৌগ, হার্টও রাখবে ভালো, কীভাবে
আরও পড়ুন: ৫০০০ নয়া প্রজাতির প্রাণী প্রশান্ত মহাসাগরের নীচে! কোন রহস্যের মিলল উত্তর
ঠিক কী ঘটেছিল এই দিন? সংবাদমাধ্যম এএফপি-এর সূত্রে খবর, লুয়ান নাম নামের ৭২ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধ কুমিরের ফার্মটি চালাতেন। একটি খাঁচার মধ্যেই থাকত কুমিরগুলি। বাইরে থেকে একটি লাঠির সাহায্যে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতেন লুয়ান। দুর্ঘটনার দিন কুমিরটিকে ডিম পাড়ার এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন লুয়ান। তার জন্য কাজে লাগিয়েছিলেন একটি লাঠি। সেই লাঠিই কাল হল। কুমিরটি লাঠি কামড়ে টান মারতেই ঘেরাটোপের মধ্যে পড়ে যান বৃদ্ধ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ছেঁকে ধরে যান আশেপাশে থাকা বাকি কুমিরগুলি। সব মিলিয়ে ৪০ টি কুমিরের মুখে গিয়ে পড়েন বৃদ্ধ। নিমেষে সারা শরীর ক্ষত বিক্ষত হয়ে যায়। পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানায়, বৃদ্ধের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ওই আক্রমণ চলে। একটি কুমির তাঁর হাতটিও আলাদা করে ফেলে শরীর থেকে। পরে জানা গিয়েছে, সেটিও সাবাড় করেছে তাদের কেউ।
কুমিরের ওই ফার্মের সভাপতি ছিলেন লুয়ান নাম। তবে তার এই উদ্ভট শখে সমর্থন ছিল না পরিবারের কারওর। পরিবারের তরফে বেশ কয়েকবার কুমির প্রতিপালন করতে মানা করা হয়। কুমিরের সংখ্যা বৃদ্ধি করতেও বারণ করা হয়েছিল তাঁকে।কিন্তু লুয়ান সে কথায় কান দেননি। তবে এই দুর্ঘটনার পর তাঁর পরিবার আর কুমির রাখতে চান না। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, কুমিরগুলিকে বিক্রির পরিকল্পনাই করছেন তাঁরা। তবে কম্বোডিয়ার ওই গ্রামে এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ সালে এক ছোট্ট মেয়ে এভাবেই কুমিরের শিকার হয়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup