সচেতনতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অনেকেরই ধারণা পরিষ্কার হয়েছে। এখন মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যার জন্য চিকিৎসকদের কাছে অনেকেই দ্রুত হাজির হন। কিন্তু এর পরেও একটি সমস্যা থেকেই যায়। সেটি হল, সঠিক রোগ নির্ণয়। আর এই সমস্যাই এবার সহজ করে দিতে পারে একটি রক্তপরীক্ষা।
(আরও পড়ুন: ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে খাবার খেতে পারবে পড়ুয়ারা, কেন এমন ছাড় মহারাষ্ট্রে)
মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা সঠিক ভাবে নির্ণয় করা গেলে, তার চিকিৎসাও অনেক ক্ষেত্রেই সহজ হয়ে যায়। কিন্তু দেখা গিয়েছে, অনেকেই সঠিক ভাবে চিকিৎসকদের কাছে নিজেদের সমস্যাগুলি বুঝিয়ে বলতে পারেন না। এটি বিশেষ করে প্রযোজ্য বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মতো অসুখের ক্ষেত্রে। এই অসুখের সঙ্গে অনেকেই ডিপ্রেশন বা অবসাদকে গুলিয়ে ফেলেন।
(আরও পড়ুন: হার্ট ভালো রাখে হেঁশেলের এই মশলা! ডায়বিটিসও কমবে তরতরিয়ে)
কেন এই সংশয়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মতো অসুখের ক্ষেত্রে কখনও আক্রান্ত অবসাদে ভোগেন, কখনও আবার অতি উদ্যমী হয়ে পড়েন। এই দ্বিমেরুর মানসিকতা দেখা যায় তাঁদের ক্ষেত্রে। কিন্তু চিকিৎসকের কাছে সমস্যার কথা বলার সময়ে তাঁদের অনেকেই এই অতি উদ্যমী মানসিকতার কথা বলতে ভুলে যান। ফলে তাঁদের অবসাদের চিকিৎসা চলে। যেখানে তাঁদের বাইপোলার ডিসঅর্ডারের ওষুধ দেওয়ার কথা ছিল, সেখানে ডিপ্রেশনের ওষুধ দেওয়া হয়। এর ফলও হয় মারাত্মক। মানসিক স্বাস্থ্যের আরও অবণতি হতে থাকে।
(আরও পড়ুন: এই মিষ্টি ফলের রস খেলেই নাকি কমবে ডায়াবিটিস! কী বলছে বিজ্ঞান)
এই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতে পারে তুন আবিষ্কার। কী ধরনের পরীক্ষার কথা এখানে বলছেন চিকিৎসকরা? সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন গবেষক একটি বিশেষ ধরনের রক্তপরীক্ষার কথা বলেছেন। তাঁরা দেখিয়েছেন, এই পরীক্ষায় বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মতো অসুখ সহজেই ধরা যায়। তবে তার সঠিক মূল্যায়নের হার এখনও ৩০ শতাংশ। এর পরে মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হওয়া যায় বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মতো অসুখের ক্ষেত্রে।
(আরও পড়ুন: সাবধান! মাঝে মধ্যেই কথা গুলিয়ে যাচ্ছে? এই রোগে আক্রান্ত হলে মারাত্মক বিপদ)
তবে এই পরীক্ষা এখনও গবেষণার স্তরেই রয়েছে। আগামী দিনে এই বিষয়ে আরও উন্নতি হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সেক্ষেত্রে খুব সহজেই নির্ণয় করা যাবে এই ধরনের অসুখ। এবং এর চিকিৎসাও সহজেই করা যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।