বাজারি প্রোডাক্ট মানেই তাতে রাসায়নিক থাকবেই। সে যতই নামী দামী প্রোডাক্ট হোক না। যতই বলুক তাতে ক্ষতিকর রাসায়নিক নেই। আদতে সেগুলোর ব্যবহার চুলকে রুক্ষ করে তোলে। সিল্কি, উজ্জ্বল চুল পাওয়ার জন্য যে মানুষ কন্ডিশনার লাগায় সেটার কোনও কাজই হয় না। তাই এসব প্রোডাক্টের বদলে বাড়িতেই বানান কন্ডিশনার। কী দিয়ে? দেখুন।
প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা কন্ডিশনার চুলের ক্ষতি করার বদলে তাকে উজ্জ্বল করে তোলে। আর চুলের কন্ডিশনিং করে একমাত্র কলা। এই প্রাকৃতিক উপাদান মাথার ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং তাকে পুষ্টি জোগায়, হাইড্রেট করে। এছাড়া কলায় থাকা ভিটামিন, মিনারেল চুল বাড়তে সাহায্য করে। চুলের ডগা ফাটা আটকায় এবং উজ্জ্বল করে তোলে।
তাহলে ভাবছেন কী করে কলা দিয়ে কন্ডিশনার তৈরি করবেন বাড়িতে? দেখুন পদ্ধতি এবং উপকরণ।
কলা দিয়ে তৈরি কন্ডিশনার বানাতে লাগবে: দুটি পাকা কলা, দুই চামচ মধু, সামান্য নারকেলের দুধ এবং নারকেল তেল। সঙ্গে দিন দুই চামচ অলিভ অয়েল এবং কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল।
কী ভাবে বানাবেন: সবার আগে কলার খোসা ছাড়িয়ে সেটাকে টুকরো টুকরো করে কেটে নিয়ে তাতে নারকেলের দুধ দিন। মধু দিয়ে দিন। এবার এটাকে মেশানোর পর দিন নারকেল তেল আর অলিভ অয়েল। এবার সব কটি উপাদানকে একসঙ্গে মিশিয়ে একটা মিশ্রণ বানান। তারপর তাতে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল দিয়ে দিলেই তৈরি কলার কন্ডিশনার। এছাড়া আপনি যদি চান এতে দুই চামচ দই মেশাতে পারেন। এর ফলে ঘনত্ব বাড়বে কন্ডিশনারের।
এটার উপকারিতা কী?
চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে কলা। পুষ্টি জোগায়। গভীর ভাবে কন্ডিশনিং করে কলা। এই কন্ডিশনারে থাকা নারকেলের দুধ এবং তেল চুলকে মজবুত করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে অলিভ অয়েল চুলকে সিল্কি করে তোলে।
কীভাবে লাগাবেন?
চুল হালকা ভিজিয়ে চুলের আগা থেকে ডগা পর্যন্ত এই প্যাক লাগান ভালো করে। কিন্তু এটা লাগানোর আগে অবশ্যই চুলের জট ছাড়িয়ে নেবেন। তারপর এটা লাগান। লাগিয়ে মিনিট ত্রিশ রেখে ভালো করে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিন। তারপর শ্যাম্পু করুন।