বাঙালির প্রিয় উৎসব দুর্গাপুজো। এই চারদিনের জন্য সারা বছর বসে থাকেন বাঙালিরা। দুর্গাপুজোর নিয়ম কানুন অনেক। এই কয়েকদিন প্রতীমার সঙ্গে পুজো করা হয় নব পত্রিকাকেও। শাড়ি পড়ানো কলা পাতাকে বলা হয় নবপত্রিকা। এই চারদিন গণেশের পাশেই থাকে কলা বউ।
অনেকেই কলাবউকে গণেশের স্ত্রী বলে মনে করেন অনেকেই। সপ্তমীর সকালে নবপত্রিকা স্নান করানো হয়। পরে নতুন বউয়ের সাজে গণেশের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে কলা বউ। সপ্তমী থেকে দশমী এই চারদিনই পুজো হয় কলা বউয়ের। শুভ কাজের সময় হিন্দুরীতিতে বউয়ের স্থান হয় স্বামীর বাম দিকে। কিন্তু একটু দেখলে বোঝা যাবে গনেশের ডান দিকে থাকেন নবপত্রিকা
আরও পড়ুন: বাংলায় কবে প্রথম দুর্গাপুজো হয়? জেনে নিন কিছু অজানা কাহিনি
আসলে নবপত্রিকা হল মা দুর্গারই আরেক রূপ। মা দুর্গা প্রকৃতিও প্রতীক। তাই প্রকৃতি পুজো করতে নবপত্রিকা রূপে মা দুর্গাকে পুজো করা হয়। নবপত্রিকা মানে হল নটা পাতা। এই নটা পাতার মধ্যে শুধু কিন্তু কলাপাতা থাকে না। যেহেতু শাড়ি দিয়ে পাতাগুলি মোড়ানো থাকে তাই শুধু কলা পাতাটি লক্ষ্য করা যায়। এই নবপত্রিকা বাধা হয় হলুদ সুতো অপরাজিতা দিয়ে। সুতো কাঁচা হলুদ দিয়ে রং করে বাধা হয় নব প্রৃপত্রিকা।
আরও পড়ুন: কিডনি ভালো রাখতে চান? এই খাবার খেলে তরতরিয়ে হ্রাস পাবে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা
কলাগাছ, ডালিমের ডাল, ধান, হলুদ, মানকচু, সাধারণ কচু এবং বেল, অশোক, জয়ন্তী গাছের ডাল দিয়ে তৈরি হয় নবপত্রিকা। নব পত্রিকায় বাকি এতোগুলো গাছ থাকে বলে জানেন না অনেকেই। প্রকৃতির রূপক হল নব পত্রিকা। মা দুর্গা প্রকৃতির আরেক রূপ। তাই মা দুর্গা রূপেই পুজো করা হয় কলা বউকে। তাই কলা বউ গণেশের বউ এই ধারনা একেবারেই ভুল।