পাঁচ বছরের ছোট্ট খুদে। তাকে বয়স জিজ্ঞেস করলে অবশ্য সে শান্ত ভাবে বলল আমি বড়! তার তৎপরতাতেই বাঁচল তাঁর মায়ের জীবন। মাকে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখেই আপৎকালীন পরিষেবার ফোন নম্বরে ফোন করে সে। জানায় মায়ের শরীর খারাপ, নিশ্বাস নিতে পারছে না। শুধু তাই নয়, সে আর তা মা কোথায় আছে? ফোনের ওপার থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে নিখুঁত পথনির্দেশও বলে দেয় খুদে। খুদের এই সাহসী মানসিকতার জন্য এবার তাকে পুরষ্কৃত করা হল। মার্কিন মুলুকের এই ঘটনায় প্রশাসনের তরফে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় সাহসিকতার পুরষ্কার হিসেবে বিশেষ সার্টিফিকেট।
আরও পড়ুন: কাটাকুটি থেকে রান্না, সবজি রাঁধার সময় এই ৫ ভুলেই পুষ্টির দফারফা
আরও পড়ুন: ইদের দিন এই মুখরোচক পদটি খেলে ছোটরা খুশি হবেই, কীভাবে বানাবেন জেনে নিন
সম্প্রতি ছোট্ট খুদের সেই কথা বলার ভিডিয়োও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। ঠিক কী হয়েছিল ওই ঘটনার দিন? স্কুল থেকে বেরিয়েছিল একরত্তি জয়নাব কোয়াসিম। তার মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। এদিকে মায়ের সঙ্গে স্কুল থেকে বেরনোর কিছুক্ষণ পরই মা অজ্ঞান হয়ে যান। সেই মুহূর্তেই তৎপর হয়ে ওঠে জয়নাব। সঙ্গে সঙ্গে আমেরিকার আপৎকালীন পরিষেবার ফোন নম্বর ৯৯৯-তে কল করে। সেখানে কল অপারেটর ছিলেন নাতাশা হোয়াইট। তাঁর কথায়, ‘ছোট্ট জয়নাবকে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর ঠিকানা জিজ্ঞেস করেছিলাম। ও আমাকে খুব শান্তভাবে তার ঠিকানা জানায়। এমনকি কিভাবে পৌঁছাতে হবে সেটাও জানিয়ে দেয় জয়নাব।’
আরও পড়ুন: আসছে খুশির ইদ, প্রিয় মানুষকে পাঠান শুভেচ্ছাবার্তা, কী লিখবেন, জেনে নিন এখানে
আরও পড়ুন: কথায় কথায় খুদের ভুল ধরেন, বকাঝকা করেন? জেনে নিন আদতে কী করলে ভালো হবে ওর
তার হাতে পুরষ্কার তুলে দিতে পেরে স্বভাবতই খুশি নাতাশা। এই দিন সার্টিফিকেট হাতে দেখা যায় নাতাশা ও জয়নাবকে। প্রসঙ্গত জয়নাবের মা সামিনা ইকবাল বেশ খুশি মেয়ের এমন কীর্তিতে। তাঁর কথায়, ‘ওকে আমরা কখনও ফোন করতে শেখাইনি। কিন্তু বাড়িতে একবার এভাবে ফোন করার দরকার হয়েছিল। তখনই শিখে নিয়েছে দেখে বেশ ভালো লাগছে!’ এই দিন ছবিতে হাসিমুখে জয়নাবকে সার্টিফিকেট ধরে থাকতে দেখা যায়। নেটিজেনরা ছোট্ট খুদের দায়িত্বজ্ঞান দেখে রীতিমতো প্রশংসায় মেতে উঠেছেন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup