মুম্বই-সহ গোটা দেশে পালিত হবে গণেশ চতুর্থী। ভক্তরা তাঁদের দেবতাকে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত। ভক্তরা দেশের বিভিন্ন জায়গার প্যান্ডেলগুলিতে হাজার হাজারে আসতে প্রস্তুত। আর তার জন্য প্যান্ডেলগুলি নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি বীমার মাধ্যমে জনগণের জীবন রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
এরই মধ্যে রেকর্ড করে ফেলল মুম্বইয়ের বিখ্যাত কিং সার্কেল জিএসবি সেবা মণ্ডল। এখানকার পুজোর আয়োজকরা এবার ৩৫০.৪০ কোটি টাকার বিমা কভার নিয়েছেন। এই কভারের মধ্যে রয়েছে গণপতি বাপ্পার সোনা-রূপার গয়না থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত দুর্ঘটনার কভার। স্বেচ্ছাসেবক পুরোহিত এবং রাঁধুনিদের মতো মানুষও এই কভারে অন্তর্ভুক্ত এবং এই বিমা কভারটি সরকারি সাধারণ বীমা সংস্থা নিউ ইন্ডিয়া অ্যাসুরেন্স থেকে নেওয়া হয়েছে।
গণেশোৎসব প্রায় দুই সপ্তাহ দূরে এবং রাজ্য জুড়ে গণেশ ভক্ত এবং গণেশ মণ্ডলের কর্মীদের জমায়েত চলছে। মুম্বইয়ের গণেশোৎসব মণ্ডলগিলোর প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এরই মধ্যে জিএসবি-র পুজোর বিমার খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। গণপতি দর্শনে ভক্তদের ভিড় এবং বিগ্রহের গায়ে মূল্যবান অলংকারের কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত গণপতি বাপ্পার দর্শন পেতে জিএসবি সেবা মণ্ডল কিং সার্কেলে যান। ভক্তদের ভিড়ের কারণে বাপ্পার অলংকার এবং নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখতেই হয় আয়োজকদের। আর সেই কারণেই বিমার অঙ্কের পরিমাণ এত।
জিএসবি গণপতি পুজো পাঁচ দিন ধরে চলে। এ বছর এই বোর্ডের ৬৯তম পুজো। জিএসবি মহাগণপতি সবচেয়ে ধনী গণপতি হিসাবে পরিচিত। প্রতিবছরই এই গণপতি দেখতে ভক্তদের ভিড় বাড়ছে। তাই নিরাপত্তার বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দিতেই হচ্ছে।
কী খী থাকছে বিমায়:
১। ৩৮.৪৭ কোটি: সোনা, রুপো এবং অন্যান্য গহনা-সহ বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি কভার করা হচ্ছে।
২। ২ কোটি: ভূমিকম্প, আগুন এবং বিশেষ ঝুঁকি কভারের বিমা। আসবাবপত্র, কম্পিউটার, সিসিটিভি ক্যামেরা, কিউআর স্ক্যানার, বাসনপত্র ইত্যাদির মতো জিনিসকে কভার করা হচ্ছে এতে।
৩। ৩০ কোটি: এর মধ্যে রয়েছে প্যান্ডেল, স্টেডিয়াম, ভক্তদের নানা জিনিসের বিমা।
৪। ২৮৯.৫০ কোটি: স্বেচ্ছাসেবক, পুরোহিত, রাঁধুনি, গাড়ি, চপ্পল স্টল কর্মী, পার্কিং ব্যক্তি, নিরাপত্তা প্রহরীদের মতো মানুষের জন্য ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা বিমা কভার।
৫। ৪৩ লক্ষ: অনুষ্ঠানস্থলে স্ট্যান্ডার্ড ফায়ার এবং বিশেষ বিপদের বিমা।