অনেক বাগানিরই অভিযোগ সূর্যের কড়া তাপে তাঁদের ছাদের বা ব্যালকনির গাছের হাল খারাপ। দেখুন কীভাবে বাঁচিয়ে রাখবেন গাছগুলিকে।
1/5 বৃষ্টির দেখা নেই সপ্তাহখানেক ধরে। দুপুর গড়ালেই তাপমাত্রা পৌঁছচ্ছে ৪১-৪২ ডিগ্রিতে। এই অবস্থায় অনেক বাগানিই মুশকিলে পড়েছেন তাঁদের সাধের গাছগুলি নিয়ে। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে। পাতা পুড়ে খয়েরি হয়ে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। এমনকী, রোদে গাছ ঝিমিয়েও পড়ছে অনেকের। আর বেশ কয়েকদিন এভাবে থাকার পর মারা যাচ্ছে। দেখুন এই গরমেও কীভাবে ভালো রাখবেন গাছের স্বাস্থ্য-
2/5 এই গরমে আমরা যেরকম ডিহাইড্রেশনে ভুগছি, তেমন গাছও। তাই এইসময় দিনে একবার ছাদের গাছে জল দিলে হবে না। সকালে ও রাতে দুবার জল দিন। ট্যাঙ্কের গরম জল কোনওভাবেই গাছের মাটিতে দেবেন না। সেরকম হলে সকালেই যখন ঠান্ডা থাকে কিছুটা তখন জল ধরে রাখুন। বিকেলে সেটাই গাছের মাটিতে দিন।
3/5 সঙ্গে দুবেলা পাইপ বা স্প্রে বোতল দিয়ে গাছেদের স্নান করিয়ে দিতেও ভুলবেন না যেন। এতে গাছ অনেকটাই আরাম পায়। পাতা হলুদ হয়ে যাওয়া বা পুড়ে যাওয়ার সমস্যা এতে কমবে। গরম ছাড়াও গাছকে মাঝেমধ্যে স্নান করিয়ে দিন। এতে পাতার উপর ধুলোবালি জমতে পারে না। এমনকী পোকামাকড়ের উপদ্রবও অনেক কম হয়।
4/5 যদি দেখেন দিনে দুবার গাছে জল দেওয়ার পরেও গাছ দুপুর হলেই ঢলে পড়ছে, তবে শেডে রাখার ব্যবস্থা করুন। অথবা এমন জায়গায় রাখুন যেখানে দুপুরের পর থেকে আর সরাসরি রোদ পড়ে না। চাইলে বাজার থেকে গ্রিন নেট কিনে এনেও ছাদে টাঙিয়ে দিতে পারেন। এতে সূর্যের আলো ফিল্টার হয়ে গাছে প্রবেশ করবে। বর্যাকাল এলে খুলে দিলেই চলবে।
5/5 গাছে খাবার দেওয়ার সময়ও সাবধানতা অবলম্বন করুন। এই গরমে জৈব সার না দিয়ে রাসায়নিক সার দিন। জৈব সার মাটিতে দিলে তা মাটিতে গিয়ে একটা তাপ উৎপন্ন করে। এর চেয়ে রাসায়নিক সার ১৯-১৯-১৯ বা ২০-২০-২০ জলে গুলে পাতায় স্প্রে করে দিতে পারেন। নিয়ম করে কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক দিতেও ভুববেন না যেন। কারণ, গাছে কোনও রোগ হলে এই তাপমাত্রায় রোগের সঙ্গে লড়াই করা গাছের পক্ষে আরও মুশকিলের হয়ে পড়বে।