রান্না করার সময় খুব তেল-মশলা ব্যবহার করলেই যে ওজন কমবে এই ধারণা একদম ভুল। কম তেলেও সুস্বাদু রান্না করা সম্ভব। শুধু জানতে হবে সঠিক উপায়।
1/6ওজন বাড়ছে বলে কম তেল দিয়ে রান্না করবেন ভাবছেন। কিন্তু যতবারই তা ভাবছেন, ততবারই পিছিয়ে আসছেন এই ভেবে যে এবার তো সেদ্ধ খাবারই খেতে হবে! এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। কম তেলেও সুস্বাদু খাবার সম্ভব। তা সে টিক্কি হোক বা মাংসের ঝোল। জানুন কীভাবে করবেন কম তেলে রান্না।
2/6বাসন: তেল কম দিয়ে রান্না করতে চাইলে আপনাকে সঠিক বাসন বাছতে হবে। লোহা বা ননস্টিকের প্যান-কড়াই ব্যবহার করুন। তা গ্যাসে বসিয়ে ভালো করে গরম করবেন। তারপর তাতে তেল দেবেন। অয়েল ব্রাশের সাহায্যে তা পুরো পাত্রের গায়ে ছড়িয়ে দেবেন। এবার তেল গরম হলে দিয়ে দেবেন রান্নার উপকরণ।
3/6কম তেলে মাংস রান্না করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে ম্যারিনেট করে রাখা সমস্ত উপকরণ দিয়ে। আর ম্যারিনেশনের সময় দইও ব্যবহার করে নেবেন। এভাবে ম্যারিনেট করে আপনি সয়াবিন, কাবলি ছোলা কিংবা রাজমাও রান্না করতে পারেন। এবার কড়াইতে ১-২ চামচ তেল গরম করে গোটা মশলা ফোড়ন দিন। তারপর ম্যারিনেশন ঢেলে দিন। এতে কড়াইতে লেগে যাবে না।
4/6আরেকটা ব্যাপার এক্ষেত্রে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, আর তা হচ্ছে আঁচ। কম তেলে রান্না মানে পাত্রের নীচে খাবার লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই আঁচ আপনাকে একদম কম রাখতে হবে। স্লো কুকিংয়ে সেদ্ধ হবে ভালো, স্বাদ আসবে বেশি। পুড়েও যাবে না।
5/6তেল কম থাকলে অনেক সময় মশলা কষানোর ক্ষেত্রে লেগে যায়। সেক্ষেত্রে জলের ছিটে দিয়ে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। আঁচ অবশ্যই একদম কম থাকবে।
6/6মাছ ভাজার সময় অনেক বাড়িতেই একগাদা তেল ব্যবহার করা হয়। আসলে কম তেলে মাছ ভাজতে গেলে তা লেগে যায় পাত্রে। তবে এয়ার ফায়ারে মাছ ভাজলে এই সমস্যা থাকে না। মাছের টুকরোগুলো নানা রকমের মশলা, অল্প তেল দিয়ে ম্যারিনেট করে ১০-১৫ মিনিট রেখে এয়ার ফ্রায়ারে দিয়ে দিন। এবার ম্যাক্সিমাম টেম্পারেচারে ৪-৫ মিনিট রাখুন। আপনার মাছ ভাজা তৈরি হয়ে যাবে।