Air pollutant threat: রক্তে মিশে মারাত্মক রোগ বাঁধায়! কলকাতার বাতাসে এমন কণা হু হু করে বাড়ছে
দ্রুত ঘনিয়ে আসছে বড় বিপদ
দ্রুত ঘনিয়ে আসছে বড় বিপদ
আলট্রাফাইন বা অতিসূক্ষ্ম দূষক নামেই পরিচিত এই বায়ুদূষক কণাগুলি। এগুলি থিতিয়ে পড়ে না সহজে। বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে সহজেই। তার থেকে ভয়ের কথা, নিশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে ঢুকে বড়সড় রোগ বাঁধানোর ক্ষমতাও রাখে। সেই দূষক নিয়েই এবার নতুন সতর্কবার্তা দিল কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড। তাদের তরফে জানানো হয়, কলকাতার বাতাসে এমন দূষকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে দিন দিন। বর্তমানে মহানগরীর হাওয়ায় এমন দূষকের পরিমাণ বেড়েছে ৮৫ শতাংশ। যা রীতিমতো উদ্বেগের বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই বিশেষ ধরনের দূষককে পার্টিকুলেট ম্যাটার বলা হয়। পার্টিকুলেট ম্যাটারের আকার ২.৫ মাইক্রনের কম হলে তা বেশ বিপজ্জনক। সেই বিপদেরই বার্তা দিল কেন্দ্রীয় বোর্ড।
আরও পড়ুন: খাবারের বিষক্রিয়ায় কারা বেশি ভোগেন? আগাম সাবধান হলে এড়ানো যায় মারাত্মক রোগ
আরও পড়ুন: সব দুশ্চিন্তা ভ্যানিশ হবে একটি ফলের গুণেই, নামটা কিন্তু আপনার খুব চেনা
কেন্দ্রীয় বোর্ডের তরফে বাতাসের দূষণ মাত্রার তথ্য নিয়মিত সংগ্রহ করা হয়। পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম ২.৫ বাকি সব ধরনের দূষণকারী কণার মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক দূষণকারী কণা। সেই কণার তথ্যই মেপেছিল কেন্দ্রীয় বোর্ড। গত এক বছরে তার পরিসংখ্যান রীতিমতো ভয় পাওয়ার মতোই। ২০২১-২২ সালের প্রাপ্ত তথ্যের তুলনায় ২০২২-২৩ সালের প্রাপ্ত তথ্য কয়েকগুণ বেশি মারাত্মক। ২০২১-২২ সালের তুলনায় ২০২২-২৩ সালে দূষণের মাত্রা বেড়েছে ৮৫ শতাংশ। এত বৃদ্ধির পিছনে একটি বড় কারণের খোঁজও পেয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড। তাদের প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গিয়েছে, ২০২২ সালের শীতে অনেকটাই ছিল দূষণের মাত্রা। এরই প্রভাব পড়েছে গোটা বছরের পরিসংখ্যানে।
প্রসঙ্গত, শীতকালে বায়ুর মধ্যে নানা কারণে দূষণের মাত্রা বেশি থাকে। এর ফলে শ্বাসযন্ত্রের নানারকম রোগের হারও বেড়ে যায়। যাদবপুর, বালিগঞ্জ, রবীন্দ্র সরোবর, ভিক্টোরিয়া, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সহ কলকাতার মোট ১৪টি জায়গা থেকে তথ্য সংগ্ৰহ করা হয়েছিল। এছাড়াও হাওড়ার বেলুড়, ঘুসুরি সহ রাজ্যের একাধিক এলাকার বায়ুর পরিমাপ করা হয়। পিএম ২.৫ ছাড়াও রয়েছে আরে প্রকৃতির বায়ু দূষক পিএম ১০। কলকাতার বাতাসে এই দূষকের মাত্রা সারা ভারতের নির্দিষ্ট দূষণ মাত্রার থেকে অনেকটাই বেশি। ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি স্ট্যানডার্ডসের নির্ধারিত মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ১০০ গ্রাম। অথচ ডিসেম্বরের কলকাতায় সেই মাত্রা ছিল গড়ে ২৫৪ গ্রাম। এর ফলেই বেড়েছে বড় রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup