New York air pollution: বায়ুদূষণের দৌড়ে দিল্লিকে টেক্কা দিল নিউ ইয়র্ক, কানাডার দাবানল কতটা ক্ষতি করল

বায়ুদূষণের জেরে নিউ ইয়র্ক শহরের অবস্থা বেশ‌ সঙ্গীন। কানাডার দাবানলের কারণেই বেড়েছে দূষণের মাত্রা। কিন্তু কেন এই দাবানল দায়ী?

বায়ু দূষণের দৌড়ে দিল্লিকে টেক্কা দিল নিউ ইয়র্ক

এক দেশের জন্য বিপদে পড়েছে অন্য দেশের এক শহর। রীতিমতো নিশ্বাস নেওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুনতে আবাক লাগলেও এটাই সত্যি। সম্প্রতি কানাডার কারণেই বড় বিপদের মুখে নিউ ইয়র্ক। উত্তর আমেরিকার এই শহরটির বায়ু প্রবলভাবে দূষিত। শুধু তাই নয়, দূষণের মাত্রা সর্বকালের রেকর্ডও ছাপিয়ে গিয়েছে। সাধারণ বায়ুদূষণের মাত্রা মাপা হয় একটি বিশেষ মাপকাঠির সাহায্যে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় তাকে বলা হয় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স।‌ অর্থাৎ বায়ুর মান সূচক। সেই সূচকে নিউ ইয়র্কের অবস্থা ভীষণ সঙ্গীন। দেখা গিয়েছে কানাডার বনাঞ্চলে আগুন লাগায় নিউ ইয়র্কের দূষণ বেড়েছে কয়েকগুণ। অঙ্কের হিসেবে যা ছাপিয়ে গিয়েছে দিল্লির দূষণমাত্রাকে। 

সাধারণত ১-১০০এর মধ্যে দূষণের মান থাকলে তাকে নিরাপদ বলে মনে করা হয়। তবে ভারতের অধিকাংশ শহরে দূষণের মান এর চাইতে অনেক বেশি।‌ খোদ দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও কলকাতার মতো শহর দূষণের কারণে বারবার খবরের শিরোনামে উঠে আসে। সেই দিল্লিকেও এবার ছাপিয়ে গিয়েছে নিউ ইয়র্ক। সূচকে এই শহরের দূষণের মান ২৫৪। এর জেরে শহরের আকাশ রীতিমতো আবছা হয়ে গিয়েছে। একাধিক বিমান অবতরণের জন্য বিশেষ‌ ব্যবস্থাও নিতে হয়েছে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষকে। প্রসঙ্গত সাম্প্রতিককালে কানাডার ভয়ঙ্কর দাবানলগুলির মধ্যে বেশিরভাগই এই বছর হয়েছে বলে জানাচ্ছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। অন্যদিকে এর পিছনে মানুষের যোগ থাকার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ। আদতে নিম্নমানের বন সংরক্ষণের কারণেই বারবার দাবানলের ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।‌

নিউ ইয়র্কের এই ঘটনায় একাধিক ব্যবস্থা নিতে হয়েছে শহর প্রশাসনের তরফে। নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস ইতিমধ্যেই নাগরিক উদ্দেশ্যে একাধিক সতর্কবার্তা দিয়েছেন। কিছুদিন‌ বাড়ির বাইরের কাজ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, বয়স্ক ও শিশুদের বিশেষ খেয়াল রাখতে। এই ঘটনার ফলে ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক ও ১৪ বছর শিশুদের ফুসফুস ও হার্টের রোগ হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই। এছাড়াও যতক্ষণ সম্ভব জানালা বন্ধ করে রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে শহর প্রশাসনের তরফে। নিউ ইয়র্কের মতো শহরের পরিস্থিতি ক্রমেই সঙ্গীন হয়ে উঠছে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। তবে পরিস্থিতি কবে সামাল দেওয়া সম্ভব হবে, তা এখনও অজানা।