Ghee in Empty Stomach: সকালে খালি পেটে এক চামচ ঘি বদলে দিতে পারে যে কারও জীবন। জেনে নিন কী কী লাভ হতে পারে এতে।
1/8 ঘিয়ের বহু গুণ। অনেককেই চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন ঘি খেতে। এমনকী মাখনের চেয়েও ঘিয়ে অনেক বেশি উপকারী উপাদান আছে বলে মনে করেন অনেকেই। তবে এই ঘি একটি বিশেষ কায়দায় খেলে উপকার পাওয়া যেতে পরে আরও অনেক বেশি। কী সেটি?
2/8 সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক চামচ ঘি! এই অভ্যাস তৈরি করলে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে বহু সমস্যা থেকে? কী কী সমস্যা? আজই জেনে নিন। তাহলে হয়তো কাল থেকেই আপনিও শুরু করে দেবেন এই কাজ।
3/8 সকালে উঠে খালি পেটে ঘি খেলে নানা উপকার পাওয়া যায়। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে নানা রকম রোগের থেকে রক্ষা করে। তবে মনে রাখতে হবে সকালে উঠে ঘি খাওয়ার পর আধ ঘণ্টা কিছু খাওয়া যাবে না। এবার দেখে নেওয়া যাক, এ থেকে কী কী উপকার পেতে পারেন।
4/8 ঘিয়ে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যামাইনো অ্যাসিড। এটি পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। ওমেগা থ্রি, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার কারণে অপ্রয়োজনীয় বডি ফ্যাট কমে। তাই যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের অনেক উপকার হতে পারে খালি পেটে ঘি খেলে। এতে খারাপ কোলেস্টেরল কমবে, ফ্যাট কমবে এবং শরীর সুস্থ হবে।
5/8 খালি পেটে ঘি খেলে মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা অনেক বাড়ে। ফ্যাট মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের কাজ সঠিক ভাবে করতে সাহায্য করে। ফ্যাটের সবচেয়ে ভালো উৎস ঘি। এছাড়া ঘিয়ের মধ্যে থাকা নানা রকম প্রোটিন মস্তিষ্কে যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন পৌঁছে দিয়ে উন্নততর কাজ করতে সাহায্য করে। এছাড়া স্মৃতিশক্তি জোরদার করতে সাহায্য করে ঘি।
6/8 অস্টিয়োপোরোসিসের মতো রোগ কমাতে সাহায্য করে এটি। এক ধরনের তরল বিভিন্ন হাড়ের জয়েন্টে স্বাভাবিক লুব্রিক্যান্ট হিসাবে কাজ করে। খালি পেটে ঘি খেলে এই লুব্রিকেন্ট তৈরি হয় এবং যার ফলে জয়েন্টের নানা রকম সমস্যা দূর হয়। অত্যাধিক পরিমাণ বাড়তে থাকা ক্যালসিয়াম নিয়ন্ত্রণ করতেও ঘি সাহায্য করে।
7/8 রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে ঘি। সকালটা যদি খালি পেটে ঘি খেয়ে শুরু করেন তাহলে আপনার সারা শরীরে সারা দিন রক্তসঞ্চালনে বিশেষ সুবিধা হবে। এটি শরীরের বিভিন্ন কোষে ফ্রির্যাডিকেলগুলিকে কমাতে সাহায্য করে এবং সঠিক রক্তসঞ্চালন থাকায় আপনি সুস্থ বোধ করেন।
8/8 তবে মনে রাখবেন, সব জিনিস সকলের জন্যসমান ভাবে কাজ করে না। খালি পেটে ঘি খেলে আদৌ আপনার কোনও উপকার হবে, নাকি আপনার সমস্যা বাড়বে, তা আগে থেকে ভালো করে জেনে নিন। কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই এই অভ্যাস তৈরি করুন। তাহলে নিরাপদে থাকতে পারবেন।