ওবেসিটি বা বাড়তি ওজনের সমস্যা প্রচণ্ড পরিমাণে বাড়ছে। তেমনই বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-র পরিসংখ্যান। এই সমস্যা আগামী দিনে সব মানুষের জন্যই বড় বিপদ ডেকে আনতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
হালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-র তরফে একটি পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে ৫ বছর থেকে ১৯ বছরের মধ্যে যাদের বয়স, তাদের মধ্যে মাত্র ৪ শতাংশেরই ওবেসিটির সমস্যা হত। এটি ১৯৭৫ সালের পরিসংখ্যান। সেটিই ২০১৬ সালে এসে পৌঁছে গিয়েছে ১৮ শতাংশে। চলতি সময়ে ৫ বছর থেকে ১৯ বছরের মধ্যে যাদের বয়স, তাদের মধ্যে ওবেসিটির সমস্যায় ভুগছে ২০ শতাংশেরও বেশি ছেলেমেয়ে।
এটি ভবিষ্যতে তাদের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে চলেছে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO।
তবে শুধু শারীরিক সমস্য়াই নয়, এই ওবেসিটি বা বাড়তি ওজন মানসিক সমস্যাও ডেকে আনছে। হালে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সঞ্জয় বোরুদে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এই বাড়তি ওজন শিশুদের মধ্যে সামাজিক উদ্বেগ, আত্মবিশ্বাসের অভাব, মনখারাপের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিছু কিছু শিশুর সময় মতো মানসিক বৃদ্ধি হচ্ছে না।
কী করে এই সমস্যা সামলাবেন?
- চিকিৎসকরা বলছেন, প্রথমেই শিশুদের সঙ্গে বাড়তি ওজনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে হবে। ওদের বোঝাতে হবে, এই বাড়তি ওজন শরীরের জন্য কেন খারাপ। অনেক শিশুকেই বাড়তি ওজনের কারণে সামাজিক ভাবে হেনস্থার মুখোমুখি হতে হয়। সেটিও যাতে না হয়, তার জন্য প্রস্তুত করতে হবে ওকে। সামাজিক হেনস্থাটি যে কোনও কারণ নয়, আসলে স্বাস্থ্যের প্রয়োজনেই ওজন কম রাখা জরুরি সেটি ভালো করে বোঝাতে হবে ওকে।
- যে খাবারগুলি ওকে দেওয়া হচ্ছে, সেগুলি যথাযথ স্বাস্থ্যকর কি না, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত তেলে ভাজাভুজি খাওয়া থেকে নিরস্ত রাখতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট তালিকা বানিয়ে দিতে হবে।
- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, ওর সামনে রোল মডেল হয়ে উঠতে হবে। শিশু যদি দেখে, তার বাবা-মা ওজন নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে সচেতন, তাহলে সেও নিজের ওঝন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করবে।