ওমিক্রনের নতুন রূপ অনেক দেশেই ভযঙ্কর আকার ধারণ করছে বলে দাবি উঠেছে। ডেনমার্ক, ইংল্যান্ডের মতো দেশে এটি বেশ জটিল আকার ধারণ করেছে বলেও শোনা যাচ্ছে। তার পাশাপাশি জাপানের কয়েক জন বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, এই ওমিক্রন BA.2 ডেল্টার মতোই মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। কারণ এটি আগের ওমিক্রনের তুলনায় বেশি মাত্রা সংক্রমণ ঘটাচ্ছে ফুসফুসে।
কিন্তু ভারতে এই ওমিক্রন BA.2-র সংক্রমণের হার কেমন? এটি কি ভারতেও বিপজ্জন হয়ে উঠতে পারে? কী বলছেন বিজ্ঞানীরা? সম্প্রতি National Centre for Disease Control (NCDC)-র তরফে এর উত্তর দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে এটি এমন কিছু মারাত্মক আকার ধারণ করতে চলেছে বলে মনে হচ্ছে না।
National Centre for Disease Control (NCDC)-এর প্রধান সুজিত সিংহ সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওমিক্রন BA.2 বিপুল পরিমাণেই ছড়িয়েছে ভারতে। তাঁর কথায়, ‘ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই নতুন ওমিক্রন BA.2-তে আক্রান্ত। কিন্তু তার ফলে যে হাসপাতালে ভর্তি করা বা অক্সিজেনের প্রয়োজন বেড়েছে— এমনটা নয়।’ এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর মত, ভারতে নতুন ওমিক্রন খুব একটা মারাত্মক আকার ধারণ করতে চলেছে বলে মনে হচ্ছে না।
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা বা WHO নতুন ওমিক্রন নিয়ে দুশ্চিন্তা ব্যক্ত করেছে। জোর দিতে বলা হয়েছে টিকাকরণ এবং স্বাস্থ্যবিধির উপর। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই দেশের চিিৎসকদেরও। তাঁরাও বিষয়টির উপর কড়া নজর রাখছেন। বিষয়টি যাতে হাতের বাইরে না চলে যায়, তার দিকে নজর দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু নতুন ওমিক্রন ভারতে বিরাট বিপদ আনতে চলেছে— এমন কোনও আভাস তাঁরা দিচ্ছেন না।