ভাত রান্নার আগে বা পড়ে চালের জলের গুরুত্ব অপরিসীম। ভাতের মাড় যেমন বিভিন্ন কাজে খুবই উপকারি, তেমনই চাল ধোয়ার জলও বিভিন্ন দিক থেকে উপকারি। চাল প্রথমে ধুয়ে নেওয়ার সময় যে জলটি থাকে, তা একটি পাত্রে জমা করে তা এই বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারেন। দেখে নিন কয়েকটি টিপস। ত্বক পরিচর্যা ছাড়াও আরও এক বিশেষ জিনিসের যত্নে এই চালের ধোয়া জল খুবই উপকারি।
ত্বককে দেয় আরাম
ত্বকে এই চালের জল গরমে ব্যাপক আরাম দেয়। ত্বর রোদে থাকলে তার উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়। ত্বকে আসে লালভাব। আর সেই লালভাব কাটিয়ে ত্বককে আরাম দেয় চালের জল। বহুক্ষণ বাইরে থাকলে ত্বকে একটা জ্বালাভাব আসে। তা কাটিয়ে দিতে সাহায্য করে চাল ধোয়া জল। পিরিয়ড কি খুব দেরিতে হচ্ছে? ঘরোয়া তিল, জবা, মৌরির মতো ভেষজ এইভাবে খেয়ে দেখুন!
তৈলাক্ত ত্বকে চালের জল
ত্বক যদি তৈলাক্ত থাকে,তাহলে তাতে দিন চালের জল। এতে তৈলাক্ত ভাব কাটে। ত্বকে আসে একটা ধবধবে আভা। যা ত্বককে অন্যদের থেকে আলাদা করে। ফলে এটি খুবই আরামদায়ক।
টোনার হিসাবে চালের জল
ত্বকে র পরিচর্যায় টোনার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে চালের জল। এই চালের জল পোরসগুলিকে পরিষ্কার করে। ত্বককে ধবধবে রাখতে সাহায্য করে। এই বিয়ারের নেশায় ওয়াইন ভুলে যেতে পারেন সুরা-প্রেমীরা! বাজারে ফেলে দিয়েছে হইচই
চুলের যত্নে চালের জল
চুল অনেক সময়ই রোদের তেজে শুষ্ক হয়ে যায়। হারিয়ে জায় তুলের জেল্লা। আর্দ্রতা কমে যায় চুলে। এক্ষেত্রে শ্যাম্পু করার আগে মাথায় চালের জল দিয়ে চুল ভিজিয়ে নান ১৫ মিনিট। তারপর করুন শ্যাম্পু। চুলের ডগা ফেটে গেলে চাল ভেজানো জলে তা খানিকক্ষণ চুবিয়ে রাখলে মিলতে পারে ফল।
গাছের যত্নে চালের ধোয়া জল
চালের ধোয়া জল বা ভাতের মাড় দুইই গাছের পক্ষে খুবই ভাল। চালের ধোয়া জল সেই সমস্ত গাছে দিতে পারেন যা একেবারে মরণাপন্ন, বা যে সমস্ত গাছের পুষ্টির দরকার। অন্যদিকে, মাড় ঠাণ্ডা হলে দিতে পারেন গাছে। বিশেষত বড় গাছ, যেমন লেবু গাছে এটি দিচে পারেন। এমনকি জবা গাছের মতো গাছেও অল্প করে তা ঢেলে দিতে পারেন।